শীতের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে লালমনিরহাটের খেটে খাওয়া মানুষ

জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি.


উত্তারাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা জেলা লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে গোটা জনপদ। গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে ভুগতে শুরু করেছে শিশু, বৃদ্ধসহ নিম্নআয়ের মানুষজন। কনকনে শীতের সাথে হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

লালমনিরহাট আবহাওয়া অফিস জানায়, গত দুইদিনে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এ অবস্থায় শীতকাতর মানুষেরা খর-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে তিস্তা, ধরলাসহ ১৪টি নদ-নদীর অববাহিকার চার শতাধিক চরের হাজার হাজার মানুষ শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে। চর-দ্বীপচরসহ নদী তীরবর্তী এলাকায় শীত বেশি অনুভুত হওয়ায় শীতকষ্টে দিনাতিপাত করছে এখানকার হাজার মানুষেরা।

গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে পড়েছে বিপাকে। এমতাবস্থায় কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষেরা। দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর শিশু ও বৃদ্ধদের।

খর-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভীড় করছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুদের নানা রোগব্যাধী নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন।

এব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, শীত মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেলে গরীব ও ছিন্নমূল মানুষের তালিকা তৈরী করে তাদের মাঝে গরম কাপড় বিতরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও সীমান্তবর্তী ও নদ-নদীবেষ্টিত এ জেলার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারণে সরকারসহ বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা শীতকাতর মানুষদের।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ