Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
দইয়ের জন্মস্থান খ্যাত বগুড়ার শেরপুর উপজেলায়
আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরের দইয়ের খ্যাতি দেশ ও দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে । আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দইয়ের ওজনে চলছে শুভঙ্করের ফাঁকি! কৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রতি পিস সরা দই প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাস্তবে প্রতি সরায় সাড়ে পাঁচশ’ থেকে সাড়ে ছয়শ’ গ্রাম দই থাকছে। কয়েক বছর আগে সাড়ে সাতশ’ থেকে সাড়ে আটশ’ গ্রাম পর্যন্ত দই থাকলেও ক্রমেই কমে আসছে এর পরিমাণ। তবে দাম কিন্তু বেড়েই চলেছে। দইয়ের জন্মস্থান উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার শেরপুর উপজেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, খ্যাতির দই বেচা-বিক্রির জন্য দৃষ্টি নন্দন স্থানগুলোয় গড়ে তোলা হয়েছে নামি-দামি অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সাজানো হয়েছে। বাহারি ডিজাইনের টাইলস বিছানো ও গ্লাস ঘেরা ঘরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দইয়ের পসরা। এসব দই গুণে-মানে ও স্বাদে অতুলনীয়।
অভিযোগ উঠেছে, বাহারি এ সাজ-সজ্জার আড়ালে ওজনে কম দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে ক্রেতাদের সঙ্গে। এক সরা দই দিয়ে বিক্রেতারা হাতিয়ে নিচ্ছেন এক কেজির দাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানের কর্মচারীরা আগের ধারাবাহিকতায় প্রতি পিস সরা দই প্রতি কেজি হিসেবে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন। তারা বলেন, ‘নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা কুমোর শিল্পীদের কাছে অর্ডার দিয়ে দই ভরানোর সরা বানিয়ে নেন। সরার আকার বড় দেখালেও গভীরতা অনেক কম থাকে।
এ ধরনের সরায় অনেক কম দইয়ে ভরে যায়। একেক সময় মালিকেরা একেক মাপের সরার অর্ডার দেন। আর ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে কুমোর শিল্পীরাও মালিকদের অর্ডার অনুসারে সরা তৈরি করে দেন’। এসব কর্মচারীরা আরও বলেন, ‘বছরের পর বছরের ধরে সরা হিসেবে দই বিক্রি হয়ে আসছে। ক্রেতাদের কাছে প্রতি পিস সরাকে প্রতি কেজি বলা হচ্ছে।
সরাগুলো মাটির তৈরি হওয়ায় ওজন করে দেখার সুযোগ কম’। আর কেউ ওজন করে নিতে চাইলে তার কাছে দই বিক্রি করা হয় না। ফলে ক্রেতারা আগের নিয়মেই দই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে ক্রেতারা ঠকছেন, লাভবান হচ্ছেন দই মালিকেরা’- যোগ করেন কর্মচারীরা। তারা বলেন, ‘নাম দিয়ে এ সংক্রাস্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে কোনো প্রতিষ্ঠানে আমাদের চাকরি থাকবে না’। এ ব্যপারে হোটেল সুপার সাউদিয়ার ম্যানেজার আব্দুল খালেক বলেন দই কেজি নয় পিস হিসাবে বিক্রি করা হয়। তবে সরায় ৫ থেকে ৬’শ গ্রাম দই আছে।
এ প্রসঙ্গে শুবলী বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খাতুন রাখী বলেন- আমরা ক্রেতারা দই কিনতে গেলে দোকানিরা কেজি হিসাবে দাম নেয়। তিনি এই প্রতারনার হাত থেকে রেহায় পেতে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কাসনা করেন।