Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
কাজীপুর প্রতিনিধি.
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের মৃত নুর হোসেনের পুত্র দেলবার আলী (৬৩) নামের এক ব্যক্তির অপতৎপরতায় অতীষ্ঠ প্রায় দুইশ পরিবারের মানুষ।
গতকাল দুপুরে দেলবর আলীর আপন ভাইসহ গ্রামবাসি একজোট হয়ে সাংবাদিকদের নিকট দেলবর আলীর নানা অপকর্মের বর্ণনা তুলে ধরেন। এই দেলবর আলী গ্রামের নিরীহ ও অশিক্ষিত মানুষগুলোকে নানাভাবে মারপ্যাচে ফেলে তাদের জমিজমা টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান পশ্চিম খুকশিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেন। প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে তিনি জমি ক্রয় করে নিজের নামে নামজারি করিয়ে খাজনা প্রদান করেছেন এবং অদ্যাবধি ভোগদখল করে আসছেন।
সম্প্রতি তারসহ হাজরাহাটি গ্রামের জসমত আলী, আসমত আলী ও সাত্তার আলীকে দিয়ে ১৩৭ জনের নামে বাটোয়ারা মামলা করিয়েছেন দেলবর মিয়া। বাদী হিসেবে তিনজনের নাম উল্লেখ থাকলেও জসমত আলী ছাড়া বাকি দুইজন মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। এরই মধ্যে দেলবর মিয়া নিরীহ ও অশিক্ষিত বিবাদীদের ভুল বুঝিয়ে কোটে যেতে নিরুৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের এক বিবাদী জানিয়েছেন, আমার অংশ যদি বাদী পায় তাহলে দেলবর মিয়া তা আমাকে ফেরৎ নিয়ে দেবে বলে আশ্বস্থ করেছে এবং আমাকে কোটে যেতে নিষেধ করেছে। শুধু তাই নয় দেলবর মিয়া বাটোয়ারা মামলায় জয়লাভ করে নিজে অর্ধেক জমি নেবে এবং বাকিটুকু বাদীদের দেবে বলে জানিয়েছে।
ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের বিধবা স্ত্রী চায়না খাতুন (৬৭) জানান, সাতমাস পূর্বে একই গ্রামের দেরাজ খার পুত্র নান্নু খার সাথে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। দেলবার আলীর প্ররোচনায় চায়না খাতুনের লোকজন বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে গেলে প্রতিপক্ষের সাথে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দেলবর আলী প্রতিপক্ষের নিকট থেকে উৎকোচ নিয়ে এখন চায়না খাতুনকে বিরুদ্ধে উল্টো মামলায় জড়িয়েছে।
এসময় মৃত আজাহার আলীর পুত্র খলিল শেখ জানান, ওই গ্রামের ইদ্রিস ভুইয়ার সাথে তার জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। পরে সালিশী বৈঠকে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টির সুরাহা করে একটি রায় প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী দেলবর আলীর পরামর্শে ইদ্রিস ভুইয়া সেই রায় এখন আর মানছে না।
একই রকম ঘটনা তুলে ধরেন ওই গ্রামের আব্দুল কাদের ও দেলবর আলীর আপন ভাই আব্দুল হক। তিনি জানান, দেলবরের ছোটভাই আকরামের নিকট থেকে ছয় বছর পূর্বে একটি জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিলেন। দলিলে দেলবরের আরেক ভাই সদ্য প্রয়াত রফি মিয়াও সাক্ষী দেন। কয়েক মাস পূর্বে দেলবর মিয়া ওই জমিতে জোরপূর্বক দখলে যান। এসময় তিনি জমিতে থাকা মাসকলাই উঠিয়ে নেন। বিষয়টি সুরাহার জন্যে সালিশী বৈঠক ডাকলে দেলবর মিয়া হাজির হননি।
এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে থানা পুলিশ কাগজসূত্রে ওই জমি আব্দুল কাদেরের বলে রায় দেন। কিন্তু এখনও সেই জমি দেলবর মিয়া দখলের পায়তারা করছে।
দেলবর মিয়া তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি যেটা সঠিক সেটাই করি। এদিকে পুরো গ্রামবাসি দেলবর মিয়ার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করেছেন।