বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর বাজার জামে মসজিদ ও আমিনা ময়েন আলিম মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষের জানালার পাশে বাজার আবর্জনার স্তুপ করা হয়েছে। এতে মসজিদের মুসুল্লী ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মথুরাপুর বাজারে জামে মসজিদ ও আমিনা ময়েন আলিম মাদ্রাসা পাশাপাশি। এরমাঝে রয়েছে কৃষি বিভাগের পরিত্যাক্ত বিএস কোয়ার্টার। মথুরাপুর বাজার পরিস্কার করে আবর্জনা গুলো এই বিএস কোয়ার্টারের সামনে ফেলা হয়। ওই আবর্জনার স্তুপের পাশদিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসায় চলাচলের পায়ে হাটার রাস্তা। ফলে দূর্গন্ধ সহ্য করে চলাচল করেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসুল্লীরা। এছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষকদের অফিস কক্ষ, শ্রেণি কক্ষ এবং মসজিদের জানালা দিয়ে আবর্জনার দুর্গন্ধে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এতে একদিকে এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসুল্লী এবং এলাকাবাসী আবর্জনা গুলো অপসারনের দাবী জানিয়েছেন।
আলিয়া মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদৎ হোসেন বলেন, আবর্জনার স্তুপের পাশে আমাদের শ্রেণি কক্ষ। দুর্গন্ধে শ্রেণিকক্ষে থাকা বড় কঠিন হয়ে যায়। একারনে অনেক সময় শিক্ষকের কথার দিকে মনযোগ থাকে না। একই শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন খাতুন জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের শ্রেণিকক্ষের পাশে ময়লা ফেলেন। ওই ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে তাদের যাওয়া আসা করতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন প্রাণীরা ময়লা গুলোকে পায়ে হাটার পথেও ছড়িয়ে ফেলে। মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সালমা পারভীন বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকদের অফিস কক্ষ এবং কয়েকটি শ্রেণি কক্ষে আবর্জনার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এজন্য জনস্বার্থে আবর্জনা অপসারণ করা প্রয়োজন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা এবং আবর্জনা গুলো অপসারণ করার জন্য মথুরাপুর হাটের ইজারাদারকে মৌখিক ভাবে অনুরোধ করেছি। কিন্তু এতে কোন কাজ হয়নি। বাজারের আবর্জনা গুলো এখনো নিয়মিত ফেলা হয়।
মথুরাপুর হাটের ইজারাদার আল হেলাল বলেন, মসজিদ ও মাদ্রাসার পাশে আবর্জনার স্তুপ করা এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। হাটের ঝাড়–দারগণ ময়লা গুলো ফেলে আসছিল। বিষয়টি জানার পর থেকে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাদ্রাসার পাশ থেকে আবর্জনা গুলো অপসারণ করা হবে।