কালবৈশাখী ঝড়ে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গোদাগাড়ী উপজেলায় গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন এক কৃষক। পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন ৩ জন।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালবৈশাখী। এর গতি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। ঝড়ের সঙ্গে ভারি বৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬ মিলিমিটার।
ঝড়ের সময় রাজশাহী মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে যেখানে-সেখানে গাছ উপড়ে পড়ে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের পোল ও তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে রাজশাহী ও এর আশপাশের উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। আজ সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, রাজশাহীর কাটাখালীতে ৩৩ কিলোওয়াট সংযোগ লাইনের ওপর বিলবোর্ড ভেঙে পড়েছে। এতে গ্রিডের সংযোগ লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। কাটাখালী ছাড়াও বিনোদপুর, তালাইমারী ভদ্রা, লক্ষ্মীপুরসহ অন্তত ১০-১২টি জায়গায় বিলবোর্ড ও গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এতে রাজশাহী বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনটি টিম কাজ করছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।
ঝড়ে রাজশাহী অঞ্চলে আম ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। চারঘাটের ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের আব্দুল মজিদ প্রাং জানান, বেশির ভাগ বাগানের প্রায় অর্ধেক আম ঝরে পড়েছে। এই ক্ষতি অপূরণীয়।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঝড়ে গাছচাপা পড়ে গোদাগাড়ীতে মো. আলম মুন্সি (৪৫) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। তার বাড়ি উপজেলার কাকনহাট কলাবাগান এলাকায়।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ২ জন জীবিত উদ্ধার হলেও ৩ জন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। আজ সকাল থেকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।