Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
কালিম্পং থেকে খুব বেশি দূরে নয় ‘কাগে’ নামের এই গ্রাম। বড়জোর ২০ কিলোমিটার হবে! পাইন, ওক আর ধুপি গাছে ঢাকা ছবির মত সুন্দর এই গ্রাম। যতদূর চোখ যায় শুধুই সবুজ; তার মাঝে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে সাদা বরফে ঢাকা পর্বতসারি। এখানকার বসবাসকারী মানুষরাই তৈরি করেছে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য থাকার ব্যবস্থা।
পাহাড়ের গায়ে তৈরি হওয়া এসব হোমস্টে’র ঝুলন্ত বারান্দা ও বাগানে বসে সকাল সন্ধ্যা দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। পরিষ্কার নীল আকাশ, মাঝে মাঝে পাহাড়ের গায়ে ফুটে উঠেছে হাজারো নাম না জানা নানা রঙের ফুলের বাহার। সব দেখে মনে হয় লাল, নীল, সবুজের মেলা বসেছে। শান্ত পরিবেশে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ান পাহাড়ি গ্রামের রাস্তায়। আদতে কাগে পুরানো সিল্ক রুটের তলদেশে অবস্থিত এবং পেডং-এর কাছাকাছি।
নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের কোলে অবস্থিত কাগে। মাত্র কয়েক ঘর লোকের বাস পাহাড়ের কোলে এই গ্রামটিতে। থাপারা বংশপরম্পরায় বাস করেছেন এখানে। ছোট ছোট বাড়ি আর প্রতিটি বাড়ির বারান্দায় রং বেরং-এর অর্কিড আর ফুলগাছ দিয়ে সাজানো। আর রয়েছে পাহাড়ি ধাপে বিভিন্ন অর্গানিক ফসলের সমাহার। ভোর বেলা হিমেল হাওয়াকে সঙ্গী করে কাগে থেকে পায়ে পায়ে পৌঁছে যান কাগে টপে। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার শীর্ষে সূর্যের প্রথম আলো পড়ার দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।
যাতায়াতের পথটাও স্বগীয়! দেখা মিলতে পারে হিমালয়ান হুইলথ্রাশ, মোহনচূড়া, হানি বাজার্ড প্রভৃতি পাখির। কাগে-র দূষণহীন পরিবেশে পাহাড়ে জৈব প্রযুক্তির সাহায্যে ফসল ফলিয়ে তা পর্যটকদের জন্য রান্না করে পরিবেশিত হয়, যার স্বাদ এককথায় অনবদ্য। দিন দু’য়েকে কাগেতে থেকে পায়ে পায়ে বা গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিন ৩০০ বছরের পুরনো চার্চ। এমনকি কাগে থেকে ঘুরে আসা যায় রিশপ, কোলাখাম, লাভা এমনকি লোলেগাঁওতে।
ছোট ট্রেক করে ঘুড়ে আসতে পারেন পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওখলে। এনে একটি শিব মন্দির আছে। যেতে পারেন দুই কিলোমিটার দূরে বৌদ্ধ মনেস্ট্রি মুসলেরি দারা। এটি মূলত একটি মেডিশন সেন্টার। এখানে কাগে নদীর উপর আছে তাম ফলস। অ্যাডভ্যাঞ্চার পিপাসুদের জন্য আছে বিনদা জঙ্গলের মধ্য অবস্থিত ক্যাথলিক হিডেন ক্রস। এখানে যেতে হবে ৪ কিমি গাড়িতে, তারপর ৩ কিমি হেঁটে। সকালে চা খেয়ে ১৫ মিনিটের পথ হেঁটে ঘুরে আসুন ধামি ফলস। এত দূরে পাহাড়ের গ্রামেও পাবেন আধুনিক সুযোগ সুবিধা। তার সঙ্গে পাবেন এখান মানুষের নিজস্ব খাবারের স্বাদ। তবে কাগে ভ্রমণের প্ল্যান করলে এর সঙ্গে রাখবেন পুরনো সিল্ক রুট ও পেডং-কেও।
নির্দেশনা
প্রথমেই শিয়ালদা থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। তারপর সেখান থেকে গাড়িভাড়া করে পৌঁছে যান প্রায় ৯১ কিলোমিটার দূরের কাগে-তে। এছাড়া শিলিগুড়ি থেকে বাসে করে চলে যান কালিম্পং। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যান কাগে। আবার কম খরচে যেতে চাইলে শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে শেয়ার কার বা বাসে করে চলে আসতে পারেন কালিম্পং। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নেওড়াভ্যালির কোলে কাগে গ্রাম। তবে হোমস্টের সঙ্গে আগে যোগাযোগ থাকলে গাড়ি ব্যবস্থা ওরাই করে দিতে পারে।
কাগেতে কোনো হোটেল নেই। থাকতে হবে হোমস্টেতে। এছাড়া গুগলে সার্চ করলে এই ধরনের বেশ কয়েকটি হোমস্টের খবরও পেতে পারেন। সব সময়ই ভালো লাগার জায়গা কাগে। কিন্তু বর্ষার সময় না যাওয়াই ভালো। বৃষ্টির জন্য রাস্তা খুব খারাপ থাকে। কাগে উপভোগ করার সবচে ভালো সময় অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত।
ডেইলি বাংলাদেশ অনলাইন থেকে প্রতিবেদনটি সংগ্রহ করা হয়েছে। যার লিংক দেখতে এখানে ক্লিক করুন।