শেরপুরে সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত


শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি.

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি ও বগুড়ার শেরপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকান্ডের ১৫বছর পূর্তি উপলক্ষে শোক ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় শেরপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডস্থ কার্যালয়ে ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ।

এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির, সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর নিমাই ঘোষ।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডু, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক সবুজ চৌধুরী, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর ইসলাম, আব্দুল হামিদ, আব্দুল ওয়াদুদ, উৎপল মালাকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সভার শুরুতেই কালোব্যাচ ধারণ ও প্রয়াত সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তীর আত্মার শান্তি কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, দীপঙ্কর চক্রবর্তী সাংবাদিকতায় ন্যায় ও নিষ্ঠার আদর্শের প্রতীক হয়ে থাকবেন।

উল্লেখ্য, বিগত ২০০৪সালের ০২অক্টোবর রাতে দীপঙ্কর চক্রবর্তী বগুড়ায় কর্মস্থল দৈনিক দুর্জয় বাংলা পত্রিকা অফিসে কাজ শেষে শেরপুর শহরের স্যানালপাড়ার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হোন তিনি। ওই ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের বড় ছেলে পার্থ সারথী চক্রবর্তী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি র্দীঘ সময় থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি তদন্ত করেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পুলিশ ওই হত্যাকান্ডে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততা বিষয়টি আনে। দেশের আলোচিত জঙ্গি হামলা হলি আর্টিজেনের অন্যতম আসামি রাজীবগান্ধি এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।


অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ