ধুনটে বাঁধে আশ্রিত ঝুপড়ি ঘরে বাস্তুহারাদের দূর্বিষহ জীবন


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

    তারিকুল ইসলাম.

    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে সহায় সম্বলহীন দুইটি পরিবার। মাথা গোঁজার ঠাঁই না হওয়ায় তারা বাঁধের উপর ও পাশে ঝুপড়িতে বসবাস করছে। নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগে পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিষহ জীবন কাটছে তাদের।

    সরেজমিনে ঘুরে নদী সিকস্তি পরিবারগুলোর দুর্দশা লক্ষ্য করা গেছে। আব্দুর রশিদ-শেফালী দম্পতির ৫সদস্যর পরিবারের ৩জন প্রতিবিন্ধী। আগে বাড়ি ছিল ভান্ডারবাড়ি গ্রামে। সেটি গ্রাস করেছে যমুনা নদী। তাই ২২বছর ধরে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ওপর ঝুপড়ি ঘরে। অথচ এক সময় সব ছিল তাদের। গোলা ভরা ধান, মাঠজুড়ে ফসল এবং সাজানো গোছানো সংসার।

    একই চিত্র রফিকুল-জুলেখা প্রতিবন্ধী দম্পতির। তাদের বাড়ি ছিল রাধানগর চরে। দশ বছর আগে যমুনা গিলে খেয়েছে সেই বসতভিটা। বাস্তুহারা পরিবারটির ঠিকানা এখন অন্যের বাড়িতে। সেখানে সংকীর্ণ জায়গায় ঝুপড়ি ঘরে কাটছে তাদের দূর্বিষহ জীবন। ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে একই ঝুপড়ির নীচে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু এভাবে আর কতদিন ঝুপড়িতে বসবাস করতে হবে তাদের তা জানা নেই।

    অথচ তাদের পুনর্বাসনে কোন উদ্দ্যেগ নেই। নানা রকম অসুখ লেগেই আছে এসব পরিবারে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেইও রয়েছে তারা। কাজ কাম না থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে অসহায় পরিবারগুলোর।

    নদী সিকস্তি পরিবারের মানুষগুলি বেশিরভাগ নদীতে মাছ ধরে দিনমজুরী করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করছে। ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে বিয়ে শাদী দেয়া হচ্ছে সংসার বড় হচ্ছে তারপরও সংকীর্ণ জায়গায় বসবাস করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আর চলা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুনর্বাসন চান নদী সিকস্তি পরিবারগুলো। সরকারি খাস জায়গা বরাদ্দ চান তারা।

    উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যন ইউনিয়ন আতিকুল করিম আপেল ধুনট বার্তাকে জানান, ইতিমধ্যেই নদী সিকস্তি পরিবারগুলির পুনর্বাসনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অসহায় পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হবে বলে আশা করছেন তিনি।

    ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, এ ধরনের কোন পরিবার থাকলে তাদের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

      অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ