ধুনটে স্বামীর ঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্বামীর ঘর থেকে মিষ্টি খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরের পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বেলা তিনটার দিকে উপজেলা নিমগাছি ইউনিয়নের নাংলু গ্রামে নিহতের স্বামীর বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নাংলু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে একই দিন সন্ধ্যার পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধূ মিষ্টি খাতুন উপজেলার ধামাচামা গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় ৮ বছর আগে নাংলু গ্রামের সইমুদ্দিনের ছেলে শুকলা উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের তাদের জাইফা (৮) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্বামী শুকলা উদ্দিন প্রায় ৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে দুবাই যান। প্রায় ১২ দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। সকাল ৮টার দিকে শুকলা উদ্দিন তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে বাজারে যান। ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পান তিনি। এসময় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে মিষ্টি খাতুনকে ঘরের তীরের (ধরণা) সাথে পরনের শাড়ী দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় শাড়ীর কেটে দিয়ে লাশ নামানো নিচে নামানো হয়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ নাংলু গ্রামে স্বামীর ঘরের মেঝে থেকে লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ময়না তদন্তের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গৃহবধুর বাবা ফরিদ উদ্দীন প্রামানিক বাদি হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা করেছে।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, গৃহবধুর
পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ