
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ছিনতাই করা টাকা ভাগবাটোয়ারাকালে স্থানীয় জনতার হাতে আটক নারীসহ ছিনতাইকারী চক্রের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে আটক হওয়া ব্যক্তিদের ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম হাঁসাপোটল গ্রামের আবুল হোসেনর স্ত্রী রেহেনা খাতুন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তার ভাইকে সাথে নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে ধুনট বাজারে আসেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অগ্রণী ব্যাংক ধুনট শাখা থেকে তারা নগদ ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।
টাকা ভ্যানিটি ব্যাগে নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হয়ে ধুনট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত¡র এলাকায় পৌঁছলে রেহেনা খাতুন ছিনতাইকারী চক্রের কৃত্তিম জটলার শিকার হন। জটলা থেকে বের হয়ে ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে দেখেন সেখান থেকে দুই লাখ টাকা খোয়া গেছে।
ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা উপজেলার কান্তনগর বাজার এলাকায় ওই দিন বিকেলে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করতে থাকেন। এসময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের আটক করে থানায় খবর দেন। থানা পুলিশ নগদ ৬৭হাজার টাকা জব্দ এবং এক নারীসহ ছিনতাইকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বগুড়া উত্তর চেলোপাড়ার হোসনে আরা (২৫), খোরশেদ আলম ইরাক (৩০), সজিব হোসেন কাইল্যা (৩০), ধুনট সদরপাড়ার রনি ইসলাম (২৫), রকি ইসলাম (২০), মোমিন (১৭) ও সৌরভ বাবু (১৭)।
পরে রাতে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে রেহেনা খাতুন তার খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারের খোঁজ পান। এ ঘটনায় রেহেনা খাতুনের ছেলে আব্দুর রউফ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই ওই সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ধুনট বার্তাকে জানান, জব্দ করা টাকা রেহেনা খাতুনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


