
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় খননযন্ত্র দিয়ে আবাদি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননকালে অভিযান চালিয়ে খননকাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে ভূমি মালিক কামরুজ্জামান রঞ্জুকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি হাকিম ও ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত এ দন্ডাদেশ দেন। দন্ডাদেশ পাওয়া কামরুজ্জামান রঞ্জু নাটাবাড়ি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
ইউএনও অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের নাটাবাড়ি হতে বাকশাপাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার গ্রামীন মেঠো পথ রয়েছে। ওই পথ দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করেন। সম্প্রতি ওই সড়কের নাটাবাড়ি কোনাইপাড়া মোড় এলাকায় আবাদি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন কাজ শুরু করে নাটাবাড়ি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে হিটলারুজ্জমান হাকিম, হোসেন সহিদ ও কামরুজ্জামান রঞ্জু। তাদের নিজ দখলীয় জমিতে ওই পুকুরের আয়তন প্রায় ১১ বিঘা। পুকুর খনন করায় সরকারি সড়ক ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এতে নাটাবাড়ি গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে। সোমবার এ ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষে ৭৫ জন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে জমি মালিককে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাটাবাড়ি গ্রামবাসির পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মুন্টু অভিযোগ করেন, সরকারি রাস্তার ধারে তার ২৯ শতক জমি বেদখল করেছে রঞ্জু ও তার সহযোগীরা। ওই জমির মাটি কেটে পুকুর করেছে তারা।
পুকুর খননকারীদের পক্ষে কামরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, পুরাতন পুকুর সংস্কার করা হচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে জমি বেদখলের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫(১) ধারায় জমি মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

