
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে করা মামলায় হাফেজ আবু তালেব (২৮) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আবু তালেব উপজেলার পাচথুপি গ্রামের শামছুল ইসলামের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ধুনট থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে উপজেলার পাচথুপি বাজার এলাকায় মারকাযুশ শরইয়্যাহ হাফিজিয়া কওমিয়া মাদরাসার শ্রেণী কক্ষ থেকে জনতা তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাচথুপী বাজার এলাকায় ২০১৯ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন পাশর্^বর্তী বিষ্ণুপুর গ্রামের মাওলানা মাসুদুর রহমান। ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে ছেলে ও মেয়েদের পৃথক ভাবে আবাসিক ও অনাবাসিক ভাবে পাঠদান করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে ৪ জন নারী শিক্ষক ও ২ জন পুরুষ শিক্ষক দিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করানো হয়।
ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক হাফেজ আবু তালেব। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি পাশর্^বতী নসরৎপুর গ্রামে একটি মসজিদে ইমামতি করেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। অন্যান্য দিনের ন্যায় বুধবার সকাল ১১টার দিকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানকালে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (৬) আদর করার ছলে কাছে ডেকে নিয়ে যৌনহয়রানী করে।
পাঠাদান শেষে ওই শিশু শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার বাবার নিকট ঘটনাটি খুলে বলে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আবু তালেবকে আটক করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আবু তালেবকে থানা হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় ওই শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আবু তালেব বলেন, সন্তানের মতো আদর করার সময় শিশুটির গালে চুমু ও গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়েছে। কোন প্রকার অনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই মাদরাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে এ ধরণের অভিযোগের ভিত্তিতে আবু তালেবকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি ভুল শিকার করে ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। এরপর আবারো একই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বলেন, জনতার হাতে আটক আবু তালেবকে যৌন উৎপীড়নের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

