Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে অতিরিক্ত স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ডান তীর রক্ষা বাঁধ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বসতবাড়ি, আবাদি জমি সহ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ। কিন্ত ভাঙনরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনা নদীর শহড়াবাড়ি ঘাট পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার সমতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১২ ঘন্টার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ সেন্টিমিটার। এখানে পানির বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার।
এদিকে পানি বাড়ার সাথে যমুনার ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অব্যাহত ভাঙনে ১৯ মে পুকুরিয়া-ভ‚তবাড়ি এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়। সর্বশেষ সোমবার সকাল ৫টার দিকে একই এলাকায় আরো ৮০ মিটার অংশ বিলনি হয়েছে। এ নিয়ে একই স্থানে প্রায় ১৮০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে বাঁধ এলাকা। ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে আছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পুকুরিয়া-ভুতবাড়ি এলাকার ভাঙনরোধে যমুনার ডান তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০০ মিটার অংশে বাঁধ রক্ষায় কাজ করা হয়। নদীর তীরে স্লোপ করে তার ওপর জিও চট বিছিয়ে সিসি ব্লক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই কাজ শেষ হয়। বর্তমানে পানির স্রোতে সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এরই মধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে তীর রক্ষা বাঁধের বেশকিছু সিসি ব্লক।
পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ধুনট বার্তাকে বলেন, ভাঙন ধেয়ে আসছে জনবসতি ও বাঁধের দিকে। আমার বাড়ি থেকে নদী ভাঙনের দুরত্ব মাত্র ৫ মিটার। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় আমার বাড়ি সহ আশপাশের অর্ধশত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হবে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিয়ে বসতবাড়ি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বার বার অনুরোধ করেও কোন কাজ হচ্ছে না।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিবারন চক্রবর্তী ধুনট বার্তাকে জানান, যমুন নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। ভাঙনরোধে জরুরী মেরামত কাজের ফ্ইালপত্র দাপ্তরিক ভাবে প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে কাজ করা হবে।