
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে ৪ শিশু শিক্ষার্থীকে ধারাবাহিক ভাবে যৌন হয়রানী মামলার আসামী হাফেজ আবু তালেবের (২৮) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম আজাদ ধুনট বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আবু তালেব উপজেলার পাঁচথুপি গ্রামের শামছুল ইসলামের ছেলে এবং পাঁচথুপি মারকাযুশ শরইয়্যাহ হাফিজিয়া ক্বওমিয়া মাদরাসার শিক্ষক। সে বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন স্থানীয় বিষ্ণুপুর গ্রামের মাওলানা মাসুদুর রহমান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরী করেন দুই সন্তানের জনক হাফেজ আবু তালেব। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী নসরৎপুর গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতি করেন।
অন্যান্য দিনের ন্যায় ৩০ মার্চ সকাল ১১টায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৬) আদর করার ছলে কাছে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানী করে। ওই শিশু শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার বাবার নিকট ঘটনাটি খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের এক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আবু তালেবকে আটকের পর থানায় সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় ওই শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে আবু তালেবের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার এক মাস আগে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির ২ শিশু ও প্রথম শ্রেণির ১ শিশু শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে একই কৌশলে যৌন হয়রানী করেছে শিক্ষক আবু তালেব।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ধুনট বার্তাকে বলেন, মামলাটি তদন্তে হাফেজ আবু তালেব দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় থানা থেকে বগুড়া আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।


