
হৃদপিন্ডে ছিদ্র জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিলে তিলে নিভে যাচ্ছে শাহীন আলমের (১৩) জীবন প্রদীপ। এ বয়সে তার খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্ত সময় কাটছে তার মৃত্যুর প্রহর গুনে। জীবন-মৃত্যুর এক অনিশ্চয়তা কেড়ে নিয়েছে তার শৈশবের দুরন্তপনা।
প্রায় এক বছর আগে শাহীনের হৃদপিন্ডে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে না পারলে অকালে ঝরে যাবে তার জীবন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩ লাখ টাকা। কিন্তু শাহীনের বিধবা মা চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারছে না। বিনা চিকিৎসায় সন্তানের নিশ্চিত মৃত্যু জেনে শুধুই চোখের জল ফেলছে তার মা। সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান মানুষের একটু সহযোগীতা হাসি ফুটাতে পারে এই হতদরিদ্র পরিবারে। এমন আকুতি জানিয়ে শাহীনের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগীতা চেয়েছেন তার মা।
সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই। তাই বগুড়ার ধুনট সদরের কলেজপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে মাথা গোঁজার ঠাই পেয়েছে। শাহীনের বাবা মুনসুর আলী মারা গেছে প্রায় ১০বছর আগে। মা আমেনা খাতুন পরের বাড়িতে কাজ করে। অভাব অনটনের সংসার। শাহীন ধুনট জাহিদুল ইসলাম জুয়েল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবিকার তাগিদে স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরীতে কাজ করে।
শাহীনের মা আমেনা খাতুন ধুনট বার্তাকে জানান, উপর্যনের কোন পথ নেই। কোন দিন পরের কাজ করতে না পারলে সেদিন মা ও ছেলে অনাহারে থাকেন। নিজের ভিটে মাটিও নেই। তাই একামাত্র ছেলের চিকিৎসা অন্যের সহযোগীতা ছাড়া সম্ভব না। শাহীনের চিকিৎসা সহযোগীতার আশা করছে তার মা। (সাহায্য পাঠাতে পারেন-০১৭৫৩২৬৯৪৫৬-বিকাশ)।


