ধুনটে বাঙ্গালী নদীর চর কেটে মাটি বানিজ্য


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অবৈধভাবে বাঙ্গালী নদীর তীর ও চর কেটে আবুল কালাম নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মাটি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলী বাদি হয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ করেন।

    অবৈধ মাটি কারবারে অভিযুক্ত আবুল কালাম উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেড়েরবাড়ি গ্রামের দিরেসতুল্লাহর ছেলে। তিনি প্রায় ২মাস ধরে বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুস্ক মৌসুমের শুরুতেই নাব্যতা সংকটে বাঙ্গালী নদীর বেড়েরবাড়ি এলাকায় চর জেগে উঠেছে। সেই চর থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম। একই সাথে নদীর পাড় ও তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক মাটি কেটে বিক্রি করছেন। তবে দিনের চেয়ে রাতের বেলায় মাটি কাটার মহাউৎসব চলছে।

    বাঙ্গালী নদীতে এখন পানি নেই। তাই মাটি কাটার বিরূপ প্রভাব পড়ছে না। তবে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে মাটি কাটার বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল ¯্রােতে ঘূর্ণেবর্তের সৃষ্টি হয়ে ভাঙন দেখা দিবে। তখন নদী তীরের আবাদি জমি ও বসতবাড়ি সহ বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবলে পড়বে। মাটি কারবারি আবুল কালাম ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনর রশিদকে ম্যানেজ করেই এই বানিজ্য করছেন।

    এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে নবাব আলী বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালম, শফিকুল ও শিক্ষক মামুনর রশিদের বিরুদ্ধে ৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়েছে।

    বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মামুনর রশিদ বলেন, বেড়েরবাড়ি গ্রামের আবুল কালাম নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মাটি কেটে বিক্রি করছেন। তবে ওই মাটি বানিজ্যের সাথে আমি জড়িত না।

    এ বিষয়ে মাটি কারবারি আবুল কালাম বলেন, পলি পড়ে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাই নদীর পানি প্রবাহ তৈরীর করার জন্য চর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছি। এতে আবদি জমি, বসতবাড়ি কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবে না।

    ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বাঙ্গালী নদীর চর কাটার অভিযোগ তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ