ধুনটে নদীর চর কেটে বিক্রি ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নিমগাছি ইউনিয়নে অবৈধভাবে বাঙালি নদীর চরকেটে মাটি বিক্রির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে নিমগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রায় দুই মাস ধরে উপজেলার বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় বাঙালি নদীর চর ও আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হয়। এভাবে নদীর চর ও নদী তীরবর্তি ফসলি জমি হতে মাটি কাটার ফলে সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ঠ ও ফসলি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে গত ১২ ফেব্রæয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। ১৩ ফেব্রæয়ারি রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি হাকিম ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সক্যাভেটর) জব্দ করে। তবে ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি উত্তোলনকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর শনিবার দুপুরে বেড়েরবাড়ি গ্রামের দিরাজতুল্লাহর ছেলে আবুল কালাম (৫৫), তার ছেলে রানা (৩০), আবুল প্রামানিকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০), আকবর প্রামানিকের ছেলে আবু সাইদ (৩৫), জালাল প্রামানিকের ছেলে আমিনুর রহমান (৪০), আশরাফুল ইসলাম (৩২), ইদ্রিস আলীর ছেলে ফুলবাবু (৪০), আব্দুল হাইয়ের ছেলে মোস্তফা (৩৫), আব্দুল খালেকের ছেলে পারভেজকে (৩০) আসামী করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপন আইনে ২০১০ ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিমগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ