যমুনার চরে খেসারি চাষ, কম খরচে বেশী লাভ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

    চলতি মৌসুমে বগুড়ার ধুনট উপজেলা যমুনা নদীর চরে খেসারি কলাই চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। এখন কাটা মাড়াই শেষে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন খেসারি কালাই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

    চরের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চরের প্রায় শত বিঘা জমিতে খেসারি কলাই চাষ হয়েছে।  চরের জমি থেকে খেসারি কলাই তুলে তা শুকিয়ে ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী ও পুরুষ। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ৫ থেকে ৬ মণ হারে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে খরচ বাদ দিয়ে চাষিদের লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা।

      এবার বৃষ্টি না হওয়ায় খেসারি কলইয়ের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তারপরও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় চরের অর্থনীতি বেশ চাঙ্গা। এতে কৃষকরা বেজায় খুশি। পাশাপাশি পবিত্র রমজানে খেসারি ডালের চাহিদা বেশি থাকায় এবং রমজানের আগে ফসল ঘরে তুলতে পাওয়ায় কৃষকদের চোখে- মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।

      প্রতিবছর চরাঞ্চলে অধিক পরিমাণে এ ডাল চাষ করা হয়ে থাকে। এবার ব্যতিক্রমভাবে অর্ধশত চাষি যৌথভাবে শত বিঘা জমিতে খেসারি কালাই চাষ করেছে। একসঙ্গে চাষ করায় খরচও কম হয়েছে। অল্প খরচে অধিক কালাই পেয়ে চাষিদের চোখে মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। রোজায় ইফতারিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পিয়াজু বানাতে এ খেসারি-কালাইয়ের প্রয়োজন হয়। রোজার পূর্বে এ কালাই ঘরে তুলতে পেরে কৃষকরা খুশি। তাছাড়া এসময় বেশি দামে বিক্রি করে দুটো বাড়তি পয়সা আয় করতে পারবেন চাষিরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আধুনিক ও উচ্চ ফলনশীল জাতের মাসকলাই বীজ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেওয়ায় এ বছর মাসকলাই চাষে ভালো ফলন হয়েছে।

      ভান্ডারবাড়ির কৃষক শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, ভুতবাড়ির আজিবর, হবিবর, ছমের আলী ও পুকুরিয়ার আবু তালেব জানান, প্রতিকুল হাওয়া সত্তেও কলাইয়ের ফলন ভালো হয়েছে। কলাই চাষে তুলনামূলক পরিশ্রম কম এবং সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। স্বল্প খরচে এই ফসলের উৎপাদন ভালো। বিঘা প্রতি ৬-৭ মণ করে কলাইয়ের ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন কলাই আসতে শুরু করেছে। বতর্মান বাজার একটু বেশি।

      ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ছামিদুল ইসলাম বলেন, চরের পতিত জমিতে যৌথভাবে ডাল উৎপাদন করে এবার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে অর্ধশত পরিবার। এ রমজানের পূর্বে অধিক মূল্যে ডাল বিক্রি করতে পারবে তারা। এতে পতিত জমিগুলোও ব্যবহার উপযোগী হবে এবং যথাযথ পদ্ধতিতে ডাল চাষের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

        অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ