সাপাহার-খঞ্জনপুর সড়কের বেহাল দশা

নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি.

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হতে খঞ্জনপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ওই পাকা রাস্তা প্রায় সম্পুর্ন কার্পেটিং উঠে গিয়ে হাজারো খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে! সে সাথে রাস্তা চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকার হাজারো মানুষ ও যানবাহন এই পথেই চলা চল করছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে হর হামেশা দুর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছেন অনেকে। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি মেরামতের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন এ রাস্তাটি দীর্ঘ কয়েকবছর আগে সংস্কার হওয়ার পর আবারও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদর হতে মধইল বাজার যাবার পথে এ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা করুন অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইট-সুড়কি বেরিয়ে পড়েছে। যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কের দু’পাশে মাঝে-মধ্যে ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য বাস, ট্রাক, মাইক্রো, চার্জার ভ্যান, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
সাপাহার উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হতে খঞ্জনপুর বাজার পর্যন্ত মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে এখন সময় লাগছে ২০-২৫ মিনিট। রাস্তাটিতে চলতে গিয়ে পথচারীদের যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে ঠিক তেমনি রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। উপজেলার অন্যান্য রাস্তাগুলি নষ্ট হলে দ্রুত সরকারী ভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হলেও এই রাস্তাটিতে যেন নজর পড়ছেনা কারোরই।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাপাহার-খঞ্জনপুর রাস্তাটি মুলত সড়ক ও জনপথ বিভাগের। বর্তমানে রাস্তাটি সড়ক বিভাগের নতুন নক্্রায় না থাকার কারণে তারা রাস্তাটির উপর কোন গুরুত্ব দিচ্ছেনা। আবার রাস্তাটি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের আওতায়ও পড়েনা এজন্য দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা হলেও উন্নয়নে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে বর্তমানে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের নিজ দায়িত্বে রাস্তাটির পুর্ণ মাপ ও ছবি তুলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের অধীনে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ