ধুনটে চাকরির প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সোনাহাটা আলহাজ্ব কেয়ামতুল্ল্যাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চাকরি প্রত্যাশীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বুধবার (৭ মে) সকাল ১১টায় ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে যথাসময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাহাটা আলহাজ্ব কেয়ামতুল্ল্যাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন প্রধান শিক্ষক। তখন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন। সরুগ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সোহান মিয়া ওই বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। ওই পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সোহানের বাবা দুদু মিয়ার কাছ থেকে ১২ লাখ ৮০ টাকা নেওয়া হয়। এরমধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান জুয়েল ৩ লাখ ১০ হাজার, সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান ৫ লাখ ৫০ হাজার ও সভাপতি নাসিম উদ্দিন ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা গ্রহন করেন।

পরবর্তীতে সোহান মিয়াকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান ৫ লাখ টাকা ফেরত দেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম উদ্দিন ৫ আগষ্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। আর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে দুদু মিয়াকে এক বিঘা জমি চাষাবাদের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্ত দুদু মিয়া প্রধান শিক্ষকের জমি চাষাবাদ করে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। এ ঘটনায় দুদু মিয়া বাদি ৫ মে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সোনাহাটা আলহাজ্ব কেয়ামতুল্ল্যাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান জুয়েল বলেন, চাকরির নামে কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে তাদের লেনদেন হতে পারে। কিন্ত সভাপতি পলাতক থাকায় এ বিষয়টি জানাও সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।    

Latest

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ