
প্রথমবার মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করেছেন সুবর্ণা খাতুন। শুক্রবার দুপুরে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু মা হওয়ার আনন্দের মাঝেই ঘনিয়ে আসে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ।
সুবর্ণা খাতুন বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাজবাড়ী গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক ভেটু মিয়ার কন্যা। দুবছর আগে আব্দুল হাকিম নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর স্বপ্নভরা দিন কেটেছে তাদের দাম্পত্য জীবনে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হন সুবর্ণা।

স্বামী আব্দুল হাকিম জীবিকার তাগিদে রাজধানী ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর সুবর্ণা বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। সময় কেটে যায়, কিন্তু স্বামীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। এদিকে অনাগত সন্তানের চিকিৎসা ও খরচের ভার এসে পড়ে দরিদ্র কৃষক ভেটু মিয়ার কাঁধে। যেখানে প্রতিদিনের খাবার জোগাড়ই কষ্টসাধ্য, সেখানে চিকিৎসার খরচ মেটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এমন মানবিক সংকটে পাশে দাঁড়ান বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য আসিফ সিরাজ রব্বানী। শুক্রবার দুপুরে ধুনট হাসপাতাল গেট এলাকার আদর্শ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সুবর্ণার সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়। ওই অপারেশন, ওষুধ ও চিকিৎসা সেবার সমস্ত ব্যয়ভার নিজ দায়িত্বে গ্রহণ করেন বিএনপি নেতা আসিফ সিরাজ রব্বানী।

শনিবার বিকেলে নিমগাছী ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা আসিফ সিরাজ রব্বানীর পক্ষ থেকে সুবর্ণা খাতুনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা মা ও নবজাতকের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসা সহায়তার অর্থ তুলে দেন সুবর্ণার হাতে। এছাড়া ভবিষ্যতেও মা ও শিশুর মানবিক প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন আসিফ সিরাজ রব্বানী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিমগাছী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল নেতা মনিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মিথুন ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রানা ও আনাম।
কৃষক ভেটু মিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,
“আমি অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম—কীভাবে মেয়ের চিকিৎসা করবো। আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি আমার মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমাদের বিপদ থেকে মুক্ত করেছেন।”
আসিফ সিরাজ রব্বানী বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন যাবত শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের খাদ্য, চিকিৎসাসহ নানা মানবিক সহায়তা নিয়ে কাজ করে আসছেন।


