জঙ্গি মারজান ও সাদ্দামের লাশ আঞ্জুমানে হস্তান্তর

নিউজ ডেস্ক.

পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দামের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থেকে দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল নজরুল ইসলাম আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের ডিউটি অফিসার মাহমুদ হাসানের কাছে হস্তান্তর করেন। তাদের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে, গত ৭ জানুয়ারিতে ডিএমপির (মিডিয়া) অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান তাদের লাশ দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের লাশের দাবি করে কেউ আবেদন করলে, পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু কেউ আবেদন না করলে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বেঁড়িবাধ এলাকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলশান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেন নিহত হন।
৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের মুত্যুর খবর জানতে পারেন স্বজনরা। পরে মারজানের বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারি। এখন মারজান যদি অপরাধী হয় তাহলে সরকার তার বিচার করেছে। তবে ছেলের মুখ থেকে শুনতে পারলাম না যে, সে সত্যি জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িত কি না। এখন সরকার যদি আমার ছেলের লাশ বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করে তাহলে দাফনের ব্যবস্থা করব। আর না দিলে আমার সামর্থ্য নেই যে ঢাকায় গিয়ে ছেলের লাশ নিয়ে আসব।’
মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। ১০ ভাইবোনের মধ্যে মারজান দ্বিতীয়। পড়ালেখা করতেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে। গেলো বছরের জানুয়ারিতে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে এসে খালাতো বোন প্রিয়তিকে বিয়ে করে চলে যান চট্টগ্রামে। তারপর থেকে যোগাযোগ ছিল না পরিবারের সাথে।
অপর জঙ্গি সাদ্দামের পরিবার এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। সাদ্দাম কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ এলাকার তাজু আলম ওরফে আলম জলার ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী কাউনিয়া উপজেলার চর তাম্বুলপুর দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল ও পাওটানা ফাজিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করার পর লালমনিরহাট সরকারি কলেজে ভর্তি হন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রেম করে বিয়ে করেন ফারজানা নামে আর এক মাদরাসা ছাত্রীকে। তার একটি ছেলে সন্তান আছে। বর্তমানে সাদ্দামের স্ত্রী ও সন্তান কোথায় আছে জানেন না তার পরিবারের সদস্যরা।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ