তানোরে ঝুলন্ত লাশ, স্ত্রীর দাবি খুন

রাজশাহী প্রতিনিধি.

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আক্তার হোসেন (৩২) নামে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আক্তার উপজেলার ভাগনা গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে।
পুলিশ ধারণা করছে, রবিবার দিবাগত রাতে আক্তার আত্মহত্যা করেছেন। তবে আক্তারের স্ত্রী হিরা বেগমের (২৮) অভিযোগ, তার স্বামীকে হত্যা করে আম গাছের ডালের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যে গামছায় আক্তারের লাশ ঝুলছিল, সে গামছাটি তাদের না হওয়ায় এমন অভিযোগ তুলেছেন হিরা। তাছাড়া আক্তারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
হিরা বেগমের ভাষ্যমতে, কয়েকমাস আগে পাশের সিধাইড় গ্রামের তোতা মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর মারামারি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক গ্রাম্য সালিশে আক্তার হোসেনকে জুতাপেটা করেন। পাশাপাশি উঠবস করানো হয় কান ধরে। চাটানো হয় থু-থু।
এই গ্রাম্য সালিশের পর তোতা মিয়া তার সহযোগিদের নিয়ে আক্তার হোসেনকে আবার মারপিট করেন। এ ঘটনায় হিরা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
হিরার দাবি, মামলা তুলে নেয়ার জন্য তোতা তার স্বামীকে হুমকি দিত। মামলা না তুললে তাকে হত্যা করা হবে, এমন হুমকিও সে দিয়েছিল।
তানোর থানার ওসি মীর্জা আবদুস সালাম বলেন, নিহত আক্তার হোসেনের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সিধাইড় জনকল্যাণ সমিতি নামে একটি সমবায় সমিতি আছে। ওই সমিতির সামনের একটি আমগাছে লাশটি ঝুলছিল। আবার কয়েকমাস আগে ওই সমিতিতে গ্রাম্য সালিশে আক্তারকে জুতাপেটা করা হয়েছিল। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, লজ্জায় আক্তার ওই সমিতির মাঠে গিয়েই আত্মহত্যা করেছেন।
স্ত্রীর অভিযোগের ব্যাপারে ওসি বলেন, গামছা হয়তো অন্য কোনো বাড়ির সামনে থেকে আক্তার সংগ্রহ করেছিলেন। তারপরেও আমরা বিষয়টির তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ কী বলা হচ্ছে, সেটা আগে দেখি। তারপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ