৫ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আবু জাহের, শেরপুর থেকে.

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা সেবা। সেবা দেওয়া হচ্ছে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার(স্যাকমো)দিয়ে। উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন মাত্র পাঁচজন চিকিৎসক। ফলে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে অনেক রোগীই ভোগান্তিতে পরে বাধ্য হয়ে ক্লিনিক ও বগুড়া হাসপাতালে যাচ্ছেন।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন চিকিৎসকের স্থলে আছেন মাত্র ৫জন। এর মধ্যে কর্মস্থলে রয়েছেন ৪ জন। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি রোগী দেখার সময় না পেলেও মাঝে মধ্যে কিছু জরুরী রোগী দেখেন। শেরপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যা সাড়ে চার লাখেরও বেশি। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা স্বাস্থ্য সেবার জন্য রয়েছে উপজেলা সদরে একটি ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল।
হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অবস্থা দেখলে মনে পড়ে সেই গ্রামীণ প্রবাদ কাজীর গরু খাতা কলমে আছে গোয়ালে নেই। চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা চরম হুমকির মুখে। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছে। চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে রোগীরা যাচ্ছে পাশে অবস্থিত ক্লিনিক গুলোতে এমনকি বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অনেক গরিব রোগীকে বগুড়া/ঢাকা বা ভালো কোনো ুুুক্লিনিকে যারা নিতে পারছেন না, তাদের পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাম থেকে আসা গরীব অনেক প্রসুতি মায়েদেরকে বগুড়ায় রেফার করে দেয়া হয়।
ফলে এদের কেউ কেউ রাস্তাতেই সন্তান প্রসব করেন। আবার কোনো রোগীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। এ দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না থাকার কারনে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়ে এসে হাসপাতালে রোগি দেখানো হচ্ছে। এতে ওই সব ইউনিয়ন সাব সেন্টারে স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হচ্ছে।
এ ব্যপারে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা জানায়- প্রতিদিন হাসপাতালে আসা প্রায় ৬ থেকে ৭’শ রোগি দেখতে হয়। অতিরিক্ত রোগির চাপ হওয়ার কারনে আমরা কেউ ছুটি নিতে পারছিনা। এমনকি আমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ্য হলে তখন তার কাজও আমাদের করতে হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরাও মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়বো।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোখলেছুর রহমান বলেন- ডাক্তার সংকটের কারণে একজন চিকিৎসককে ডে-নাইট ডিউটি করাতে হচ্ছে। যে চিকিৎসক অনুমোদন আছে সেই জনবল থাকলে সমস্যা হতো না।
এ ব্যাপরে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শামছুল হক জানান, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জনবল সংকট থাকায় চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে এ সংকট আর থাকবে না বলে আশা করছিু ।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ