রাষ্ট্রীয় উপহার দুর্নীতি মামলায় এরশাদ খালাস

নিউজ ডেস্ক.

রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী গ্রহণের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আপিলের রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ দুই যুগের পুরনো এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আপিল হাই কোর্ট মঞ্জুর করেছে। এরশাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এর আগে কয়েক দফা শুনানি শেষে গত ১২ এপ্রিল মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের (৯মে) তারিখ ঠিক করেছিলেন আদালত। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পাওয়া উপহার তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ রাজধানীর সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন এরশাদ। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক।
এর আগে গত ২৩ মার্চ রায় ঘোষণার কথা থাকলেও ওই দিন রায়ের আগে আদালত বলেন, এরশাদের সাজা বৃদ্ধি করতে সরকার পক্ষেরও একটি আবেদন শুনানি বাকি রয়ে গেছে। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে একসঙ্গে রায় ঘোষণা করা হবে। পরে এ মামলায় এরশাদের আপিল, দুদকের পক্ষভুক্ত আপিল ও সাজা বৃদ্ধি করতে সরকারপক্ষের আপিল শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ