নতুন ভ্যাট আইন সংশোধনের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক.

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে আবারও সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এই হার কত হবে, সেটা না জানালেও তিনি বলেছেন, ‘নতুন ভ্যাট আইন সংশোধন করে ভ্যাট হার স্বস্তির জায়গায় নিয়ে আসা হবে।’ আর বাজের প্রস্তাব পেশের দিন সেটা জানানো হবে।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে ‘ভ্যাট অনলাইন মোবাইল হেল্প ডেস্ক’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মুহিত। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ফিতা কেটে ‘ভ্যাট অনলাইন মোবাইল হেল্প ডেস্ক’ (এনবিআর কর্মচারীদের বহনকারী বাস) উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে এনবিআরের গেইটে নির্মিত ভ্যাট অনলাইন হেল্প ডেস্কের উদ্বোধন করা হয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরেই সব ধরনের পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ঘোষণা ছিল অর্থমন্ত্রীর। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সেটি সাত শতাংশ করা হয়। আর জানিয়ে দেয়া হয় ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে এটা ১৫ শতাংশই করা হবে।
বাজেটে ভ্যাট আইনে পরিবর্তন আসতে পারে, ভ্যাট হার কমানো, সম্পূরক শুল্ক বহাল বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর এসেছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে শুনবেন। এর আগে বলবো কেন?’
ব্যবসায়ীরা ভ্যাট হার তিন থেকে পাঁচ শতাংশ রাখার জন্য বলছে, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাবিশ। মাই ওনলি কমেন্ট ওন দিস প্রোপোজাল ইজ রাবিশ।’
ভ্যাট হার কমফোর্টেবল করা হবে বলে চিন্তা করছেন-এমন মন্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, দ্যাটস অল রাইট। সেটাই যথেষ্ট। তবে হার কত হবে বলতে পারবো না। সেটা বাজেটে বলবো।’
নতুন ভ্যাট আইন সংশোধন হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘সংশোধন বলতে পারেন। বিকজ আই এম অলরেডি সেইড ভ্যাট হার স্বস্তির অবস্থায় নেওয়ার চেষ্টা হবে।’
বিদেশিদের খুশি করার জন্য সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এমন কমেন্টস করেছে তারা রাবিশ।’
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, এনবিআর সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক রেজাউল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হবে। ব্যবসায়ীদের ভ্যাট নিবন্ধনে উৎসাহ প্রদানের জন্য এনবিআর ৪টি বাসে ভ্রাম্যমাণ বা ‘ভ্যাট অনলাইন মোবাইল হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করেছে। এসব বাস প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটের সামনে যাবে। বাসে ঢাকার ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকবেন। এছাড়া ঢাকায় আরো ৩টি ও চট্টগ্রামে ২টি বাস নামানো হবে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ