সাফাত ৬, সাদমান ৫ দিনের রিমান্ডে

নিউজ ডেস্ক.

রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদের ছয় ও সাদমান সাকিফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম ওই সাফাত আহমেদের ৫ ও সাদমান সাকিফের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্যা রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামিরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেটে গ্রেফতার হন সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ। সাফাত (২৬) আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে এবং সাদমান (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। শুক্রবার সকালে সিলেট থেকে তাদেরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়।
পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছিলেন, দুই আসামিকে প্রাথমিক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিমান্ডে নেয়ার পরে প্রকৃত জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি তদন্তে একটি তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছ। এই কমিটিতে আছেন যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ), ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ), উপকমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ), উপকমিশনার (গুলশান) ও উপকমিশনার উইমেন সাপোর্ট সেন্টার।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ