২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ

নিউজ ডেস্ক.

২৮টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোন-সংক্রান্ত ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। এর ফলে ২৮টি ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন বন্ধে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে টেকনো ড্রাগ লিমিটেডের আবেদনে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্থগিতাদেশ না দিয়ে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আগামী ১৮ মে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আদালতে টেকনো ড্রাগ লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আকতার হামিদ। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ৪ মার্চ ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে এই ওষধু কোম্পানিগুলোর মধ্যে যে সকল কোম্পানি জিএমপি নীতিমালা অনুসরণ করছে তাদের লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিবেচনা করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
যে ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল টেকনো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডিসেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ড. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ম্যাক্স ড্রাগস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মেডিমেট ল্যাবরেটরিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মডার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, অর্গানিক হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ওয়েস্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনাইটেড কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টেকনো ড্রাগস লিমিটেড ইউনিট-১, ২ ও ৩।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘জিএমপি (গুড মেনুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস)’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপনন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে।’
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ