অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য নয়

নিউজ ডেস্ক.

অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য নয়’ উল্লেখ্য করে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলের এক্সিকিউটিভ ইন্টারনাল অপারেশন অফিসার ফারজান আরা রিমি বলেছেন, সেদিন সাফাত ও তার সঙ্গীরা অস্ত্র নিয়ে হোটেলরুমে যায়নি। এমনকি তারা কোনো মাদকদ্রব্য নিয়েও হোটেলে প্রবেশ করেননি।
শনিবার এক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
ফারজান আরা রিমির বলেছেন, এখানে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা একটা মিথ্যা কথা। কারণ যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে সেদিন আমাদের আর্চওয়ে (যে পথে সার্চ মেশিন বসানো থাকে) নষ্ট ছিল। তাই দেহরক্ষীরা তাদের অস্ত্র রিসিপশনে রেখে গিয়েছেন। এছাড়া তারা কোনো মাদকদ্রব্য নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন নাই। তবে কোনো মাদকদ্রব্য খেয়ে এসেছিলেন কিনা তা আমরা বলতে পারবো না।’
তার দাবি, ‘এই হোটেল ওপেন করা হয়েছে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৮ মার্চ। সুতরাং এরপরের ঘটনা তাদের রেকর্ডে নেই।’
সেদিন দুই ছাত্রী অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করেছেন। আপনারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাননি কেন? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে রিমি বলেন, ‘আমরা হোটেলে কোনো ধরনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাইনি। তাই এই ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এরপর ধর্ষকরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে।
প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি উপেক্ষা করে ঘটনার একমাসের বেশি দিন পর ওই দুই তরুণী গত ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে যান। তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানী করে বলে অভিযোগ ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর ৬ মে ওই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ