ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান সমাপ্ত

নিউজ ডেস্ক.

ঝিনাইদহ সদরের চুয়াডাঙ্গা গ্রামে ‘জঙ্গি আস্তানা’য় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি ওই এলাকায় জারি করা ১৪৪ ধারাও উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
দুপুরে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ ক্যাম্পে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
আজ সকালে ওই আস্তানা ঘেরাও করে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু করে র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার অভিযানে ওই দুই আস্তানার ৫টি স্থান থেকে ২টি সুইসাইড ভেস্ট (আত্মঘাতী বন্ধনী), ৫টি শক্তিশালী বোমা, ১৮টি ডিনামাইট স্টিক, বোমা তৈরির ১৮৬টি পিভিসি সার্কিট, ৪ ড্রাম রাসায়নিক দ্রব্য ও একটি অ্যান্টিমাইন উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে সেলিম হোসেন (৪০) ও প্রান্ত বিশ্বাস (১৭) নামের ২ ব্যক্তিকে ওই গ্রামের ওহাব বিশ্বাসের বাড়ির পাশ থেকে আটক করে র‌্যাব। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই বাড়ি ২টিতে অভিযান চালানো হয়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, তারা ২ জন সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য। ২০১৪ সাল থেকে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা গ্রামে অভিযানে নামে র‌্যাব। আটক সেলিম হোসেনের ভাই তুহিন ৭ মে জেলার মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানকালে নিহত হন। প্রান্ত র‌্যাবকে জানিয়েছে, তুহিন গত মাসের ২০ তারিখে ২টি সুইসাইড ভেস্ট এনে তাকে দেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত তার (প্রান্ত) কাছে রাখতে বলেন। প্রান্ত ও সেলিম জিজ্ঞাসাবাদে ইমন নামের এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। তারা দাবি করেন, ইমন তাদের সংগঠিত করছেন।
ঝিনাইদহে গত এক মাসে ৫টি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পেল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব আস্তানা থেকে কেমিক্যাল কন্টেইনার, বোমা, সুইসাইড ভেস্ট, সুইসাইড বেল্টসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ