আখাউড়ায় তাবলীগ জামাতের কর্মীদের অচেতন করে সর্বস্ব লুট

নিউজ ডেস্ক.

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মসজিদের ভেতরে অচেতন করে তাবলীগের জমাতের লোকদের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে এক প্রতাতারক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা মোগড়া ইউনিয়নের সেনারবাদী গ্রামের জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আখাউড়া উপজেলা তাবলীগ জামাতের কর্মীরা অসুস্থ তাবলীগ জামাতের ১১ সদস্যকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থ্যদের মধ্যে তিনজন থাইল্যান্ড ও পাঁচজন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিরা হলো (১) খুলনার হাফিজুর রহমান (৩২), (২) নেত্রকোনা জেলার মো. ইলিয়াছ (২৮) ও (৩) বরিশাল জেলার মাও. আহসান আল হাবিব। তবলীগ জামাতের সাথে আসা হাসান নামে এক প্রতারক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় তবলীগের জমাতের লোকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ১২সদস্যের একটি একটি দল তাবলীগের দ্বীনি দাওয়াতে বের হন। বিদেশিদের সহায়তার জন্য কাকরাইল মসজিদ থেকে দোভাষী হিসেবে আসেন ফরিদপুরের বাসিন্দা হাসান। প্রথমে তাবলীগ জামাতের এই দলটি আখাউড়া পৌর শহরের দেবগ্রাম কেন্দ্রীয় মসজিদে তিন দিন অবস্থান করেন। সেখান থেকে রবিবার সকালে সেনারবাদী জামে মসজিদে আসেন। মঙ্গলবার এশার নামাজ বাদ তালিম শেষে দোভাষী হাসান দুটি জুসের বোতল এনে সবাইকে খেতে দেন। জুস খাওয়ার পর একে একে অচেতন হয়ে পড়েন।
এ সুযোগে প্রতারক হাসান বিদেশিদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা মোবাইল ফোন সেটসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিয়ে পালিয়ে যান। তবে কত পরিমাণ টাকা ও কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি।
সেনারবাদি জামে মসজিদের খতিব মা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে এসেই দেখি দরজা খোলা। তাবলীগের লোকেরা ভেতরে ঘুমুচ্ছে। ঘুম থেকে উঠার জন্য তাদেরকে ডাকাডাকি করি। কিন্তু তারা ঘুম থেকে না উঠায় কাছে গিয়ে দেখি সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আখাউড়া উপজেলা তাবলীগ জামাতের সাথী বিল্লাল হোসেন বলেন, আহতদেরকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন মোটামুটি সুস্থ্য আছে। বিষয়টি কাকরাইল মসজিদের মুরব্বীকে অবহিত করা হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ