বগুড়ার ধুনট উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি রাসেল মাহমুদের (২২) অবস্থান ৩৮ ঘন্টায়ও নিশ্চিত হতে পারেনি তার স্বজনরা। রোববার দিবাগত রাত ৩টায় চালাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে মাইক্রোযোগে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা। রাসেল মাহমুদ উপজেলার খাদুলী দিগর গ্রামের আব্দুল রহিমের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেল মাহমুদ বগুড়ার সরকারী আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষার্থী। সে ধুনট উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। রাসেল রোববার সন্ধ্যায় ধুনট সদরের চালাপাড়া গ্রামে মামা মাদ্রাসা শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বাড়ীতে যায়। রাতে ওই বাড়ীতে মামাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের সাথে ঘুমায়। রাত ৩ টায় ওই ঘরে তল্লাশী চালিয়ে সাদা পোশাকের ৭/৮জন অস্ত্রধারী তাকে আটক করে। পরে নীল রঙ্গের একটি মাইক্রোবাসে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকাল থেকে স্বজনরা ধুনট থানা, বগুড়া সদর থানা, শাহজাহানপুর থানা, বগুড়ার ডিবি কার্যালয়, পুলিশ লাইন ও র্যাব কার্যালয়ে রাসেলের সন্ধান করে তাকে পায়নি।
রাসেলের বাবা আব্দুর রহিম অভিযোগ করেন, ধুনট থানা পুলিশ রাসেলকে আটক করেনি। অথচ অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা রাসেলকে নিয়ে গেছে মর্মে অভিযোগও নেয়নি থানা পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে র্যাব- ১২ কার্যালয়ে যোগাযোগ করছেন রাসেলের বাবা আব্দুর রহিম, মামা আবুল কালাম ও চাচাতো ভাই আবু হাসেম। র্যাব কর্মকর্তারা রাসেলকে আটকের বিষয়ে কোন তথ্য দেননি স্বজনদের। তবে তারা ধারনা করছেন রাসেল র্যাব- ১২ কার্যালয়ে আটক রয়েছে। এজন্য তারা র্যাব কার্যালয়ে অপেক্ষা করছেন। এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৮ ঘন্টায় রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় স্বজনরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়েছেন। তারা জীবত রাসেলকে ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।