নিউজ ডেস্ক.
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন এর কারিগরি বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের যেকোনো দিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্পেস সেন্টার থেকে এটি উৎক্ষেপ করা হবে।
আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। স্যাটেলাইটটির সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে এই স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
তারানা হালিম বলেন, স্যাটেলাইটটি ১৫ বছর মেয়াদের। এরপর বঙ্গবন্ধু-২, বঙ্গবন্ধু-৩ স্যাটেলাইট তৈরির কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসে ফ্লোরিডা থেকে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রজেক্টর স্থাপন করে দেশের মানুষকে উৎক্ষেপণের দৃশ্য দেখানো হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের আটজন তরুণকে এই স্যাটেলাইট চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর এবং বেতবুনিয়ায় দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করা হবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নামে এটি পরিচালনার জন্য একটি আলাদা আইন করা হবে বলেও জানান তারানা হালিম। তিনি বলেন, এর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ অনুভূতি জড়িত।
সম্প্রতি ভারত সাউথ এশিয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। সেটির সাথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পার্থক্য জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি এই দুটির পার্থক্য করতে চান না। বলেন, এই স্যাটেলাইটে প্রথমবারের মতো রোবট ব্যবহার করা হয়েছে। যা ওখানে ব্যবহার করা হয়নি।