পাহাড় ধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২৯

 

নিউজ ডেস্ক.


দু’দিনে চট্টগ্রামের তিন জেলার পাহাড় ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার সেনা কর্মকর্তাসহ ১২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এরমধ্যে দুই সেনা কর্মকর্তাসহ ৯৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জি এম আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ ৯৪ জনের লাশ উদ্ধারের খবর তারা পেয়েছেন।

তিনি বলেন,নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুসহ রাঙামাটিতে ৯৮, বান্দরবানে ৬ এবং চট্টগ্রামে ২৫ জন রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে।

মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে মারা গেছেন ৩০ জন। তাদের মধ্যে ২২ জন পাহাড় ধসে এবং বাকিরা গাছচাপায় মারা যান। এছাড়া রাঙ্গমাটিতে ৫৮ জন ও বান্দরবানে ছয় জনের লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

তবে ওই সময় পর্যন্ত স্থানীয় কর্মকর্তারা রাঙামাটিতে ৬৪ জন, চট্টগ্রামে ৩০ জন এবং বান্দরবানে সাতজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত রবিবার থেকে দেশের দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে চলছে ভারি বৃষ্টিপাত। পাহাড়ি ঢলে সোমবার রাতে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়লে চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটি ও বান্দরবানসহ কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

এরই মধ্যে বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গিয়ে তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ে ধস নামে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টির মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গেলেও অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

রাঙামাটির মানিকছড়িতে একটি সেনা ক্যাম্পের কাছে পাহাড় ধসের ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে ফের ধসে নিহত হয়েছেন দুই কর্মকর্তাসহ চার সেনা সদস্য।

সেখানে আরো ১০জন আহত হয়েছেন এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন- মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ক্যাপ্টেন মো. তানভীর সালাম শান্ত, কর্পোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক ও সৈনিক মো. শাহিন আলম।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিকালে ঢাকায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অনেকেই মাটিচাপা পড়ে আছেন। সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ