গাজীপুর প্রতিনিধি.
যানজটে আটকে থাকা ট্রাকচালক মো. শাহিন আলম জানান, রাত থেকেই যানজটে পড়ে আছি। রাত ১১টায় কাঞ্চন ব্রিজে থেকে যানজটে পড়েছি, ১১ ঘন্টায় চান্দরা পৌঁছেছি। যানজটে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সাহেব এন্টারপ্রাইজের চালক মো. মোহাম্মদ আলী জানান, যানজটে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবো না বলে মনে হয়। এতে করে ব্যাবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
কোনাবাড়ী (সালনা) হাইওয়ে থানার ওসি মো. হোসেন সরকার জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নতিকরণের কাজ চলছে। এছাড়া সড়কে খোড়াখুড়ির কাজ চলছে। যার কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচলে যানজটের তীব্রতা বেড়েছে।
তিনি আরো জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই মহাসড়কে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা।
বুধবার ভোররাত থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ যানজটের চিত্র দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি, চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে বাড়ইপাড়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই পর্যন্ত মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার যানজট ছাড়িয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। পন্যবাহী ট্রাক সড়কে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছে। সড়কে কাঁদা পানির সৃষ্টি হয়ে এক উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

