‘আন্দোলন ছাড়া কোনো দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি’

নিউজ ডেস্ক.

সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী বলেছেন, সরকারকে বোঝাতে হবে সুন্দরবনের পাশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কি ক্ষতি করবে। তাতেও কাজ না হলে জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। অতীতে দেখা গেছে আন্দোলন ছাড়া কোনো দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সুন্দরবনের জীব বৈচিত্যের উপর প্রভাব’ শীর্ষক গোল-টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সুনামগঞ্জে হাওরের পানি ইউরেনিয়ামের কারণে দুষিত কি-না তা পরীক্ষা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতিকে জানানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক বিজ্ঞানী আছেন, তারা সহজেই এই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা করে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতির বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন। সুনামগঞ্জের পানি ইউরেনিয়ামে ভরে গেছে কি-না তা খুঁজে বের করতে বেশি সময় লাগবে না।
তিনি বলেন, পানি যে বিষাক্ত তার প্রমাণ হাঁস মরে যাচ্ছে, কিন্তু মুরগি মরছে না। পানিতে চলাফেরা করা এবং মাছ খাওয়ার কারণেই হাঁস মারা পড়ছে।
ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী আরও বলেন, এই বিষ কি ধান না কাটার বিষ, না পচা ধানের বিষ? এমন প্রশ্ন যখন উঠেছে তখন তা সমাধান করতেই হবে।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়াম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সাবেক মহাপরিচালক পাওয়ার সেল, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী বি ডি রহমতুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ