শেরপুরে ঈদ উৎযাপনে শঙ্কিত দুইশ মুক্তিযোদ্ধারা !

আবু জাহের, শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি.



বগুড়ার শেরপুরের তালিকা ভূক্ত ১’শ ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধার সরকার দেওয়া সম্মানি ভাতা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে সম্মানি পাওয়ার বিষয়টি। আর মাত্র কয়েকদিন পরে অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম উম্মার বৃহতর ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর। এই বৃহতম মহা আনন্দ উৎসবে শরিক হতে না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে দেশের শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের।

জানা যায়,সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে পরিপত্রে স্বারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৬.৩৪.০০১.১৭.২৪২ এতে বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বিতরন নীতিমালা ২০১৩ বলবৎ থাকলেও পরিপত্রের আলোকে সুরাহা হয়নি সম্মানি ভাতা পাওয়ার। স্থানিয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটিকমান্ডার মওলাবক্স গতকাল সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে স্পস্ট বলা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানি ভাতা বিতরন নীতিমালা ২০১৩ চালু রয়েছে। অন্যান্য শর্তদি আরোপিত ছিলো তা শিথিল করা হয়েছে। গত ১২ জুন সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় থেকে জারি করা পরিপত্রের ৬ নং কলামের আলোকে বলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতার নীতিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে বলা হয়েছে।

কিন্তু সরকারের এই পরিপত্রের আদেশ পুরোপরি কার্যকর হচ্ছে না শেরপুর উপজেলায়।

এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সাথে দেখা করলে তিনি বলেন সকল মুক্তিযোদ্ধারা পৃথক ভাবে ৩ শত টাকার নন জুডিসিয়াল স্টাম্পে মুচলেকা এবং স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্মানি ভাতার টাকা দেওয়া যেতে পারে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ