Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
ক্রীড়া ডেস্ক.
শিরোপা নয়, ভারতকে হারানোটাই আমাদের শিরোপা। যেকোনো লড়াইয়ের আগে এমন মনোভাব পোষণ করেন পাকিস্তানি সমর্থকরা। ভারতকে হারাতে পারলেই আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠেন দেশটির আপামর জনসাধারণ। এবার তো ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি ছিনিয়ে এনেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। তাহলে ভাবুন, পাক সমর্থকদের আনন্দের মাত্রাটা কতখানি বেড়ে যাওয়ার কথা। পাকিস্তানে পা রাখতেই বীরের সম্মাননা পেয়েছেন পাক ক্রিকেটাররা। দেশের মানুষের এমন ভালোবাসায় দারুণভাবে মুগ্ধ সরফরাজ-ফখর জামানরা।
ভারতকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে হারানোর পর মঙ্গলবার ভোরে দেশে ফিরেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। রাত থেকে লাহোর, করাচি ও ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে থাকেন পাক সমর্থকরা। ক্রিকেটারবাহী বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে গর্জে ওঠেন সমর্থকরা। কেবল তাই নয়, রাত থেকেই পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের বাড়ির সামনে জমায়েত হয় সমর্থকরা। যারা রাস্তায় জায়গা পায়নি তারা উচু ভবনের ওপর থেকে প্রিয় ক্রিকেটারদের অভ্যর্থনা জানায়। সমর্থকদের হতাশ করেননি ক্রিকেটাররা। অনেকের সঙ্গে সেলফি তোলেন তাঁরা। অনেককে অটোগ্রাফ দেন ইমাদ ওয়াসিম, ফখর জামানরা।
নিজ বাড়িতে সমর্থকদের উদ্দেশে ছোটখাটো ভাষণও দেন সরফরাজ। পাক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। আমার বিশ্বাস মানুষ কোনোদিনও এই ঘটনাটি ভুলবে না। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা দারুণ খেলেছেন কেবল তাই নয় তরুণরাও দুর্দান্ত খেলে শিরোপা ছিনিয়ে এনেছে। শিরোপা জয় করা কঠিন ছিল। তবে পাকিস্তানিরা যখন সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে তখন অজেয় কিছুই থাকে না।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা হাসান আলী নামেন লাহোর বিমানবন্দরে। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ ও আহমেদ শেহজাদ। বিমানবন্দরে তাঁদের লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দলের বাকি তিন ক্রিকেটার শাদাব খান, হারিস সোহেল ও অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম অবতরণ করেন ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ১৫ জন থাকলেও মোহাম্মদ আমির, জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক ও আজহার আলী এখনো ইংল্যান্ডে রয়েছেন।