Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
পঞ্চগড় প্রতিনিধি.
পঞ্চগড় জেলায় এবার সুপারির ভালো দাম থাকায় সুপারি চাষীদের মুখে খুশির হাসি ফুটে ওঠেছে। কেননা, আপদকালে ভালো দামে সুপারি বিক্রি করতে পারায় সংসারের চাহিদা মিটছে অনেক কৃষকের।
জানা গেছে, এ জেলায় এখন কৃষিপণ্য হিসেবে সুপারির চাষ হচ্ছে। সুপারি চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই সুপারি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
জেলার প্রায় সব ক’টি হাটবাজারে কমবেশি সুপারির হাট বসে। সবচেয়ে বেশি সুপারি বিক্রি হয় বোদা নগরকুমারী হাটে। এ হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনতে আসে। বোদা সুপারির হাটে সুপারি ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১ পণ (২০ হালি) সুপারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।
দেশে সুপারির অন্যতম উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পঞ্চগড় সুপরিচিত। তাই লক্ষ্য করা যায় পঞ্চগড় জেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি সুপারি গাছ রয়েছে। অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে বাগান গড়ে তুলেছেন এ এলাকায়।
সুপারি ব্যবসায়ী সুবিদ আলী জানান, সাধারণত এপ্রিল থেকে সুপারি বিক্রি শুরু হয় ও তা জুন মাস পর্যন্ত চলে। এ সময় কৃষকের হাতে কোনো টাকা পয়সা না থাকায় তারা সুপারি বিক্রি করে পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে থাকেন।
বামনহাট এলাকা থেকে সুপারি বিক্রি করতে আসা ওসমান গণি (৫০) জানান, ‘বাড়ির আশপাশে লাগানো ৪০টি সুপারির গাছ থেকে বছরে চার/পাঁচ হাজার টাকার সুপারি বিক্রি করি। নয়াদিঘী সুপারি চাষী মো. আব্দুর রহমান জানান, প্রতি বছর লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করতে পারছি। এতে পরিবারের স্বচ্ছন্দ ফিরে এসেছে। বোদা বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী সাতখামারএলাকার মুসলিম জানান, বোদা বাজারসহ আশপাশের হাটগুলোতে প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ টাকার সুপারি কেনাবেচা হয়। এ সুপারি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন অর রশিদ জানান, এখানে মাটি সুপারি চাষের জন্য উপযোগী। তাই এখানে সুপারি চাষ লাভজনক। বাড়ির আনাচেকানাচে সুপারির গাছ লাগিয়ে দু-তিন বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় এবং সুপারির গাছের জন্য স্বল্প পরিমাণ জায়গা লাগে। অনেকে বাণিজ্যিকভাবে সুপারির চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।