Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নওগাঁ প্রতিনিধি.
নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের মারপিটে সাবেক সেনা সদস্য ফিরোজ হোসেনের (৪৬) মৃত্যু রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফিরোজ হোসেনের মৃত্যুর পর ২৪ ঘন্টা তার লাশ নিয়ে নিহতের পরিবারের সাথে ছয় লাখ টাকা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাথে মোটা অংকের টাকায় দফারফা শেষে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ছাড়ায় শনিবার দুপূরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
নিহত ফিরোজ হোসেন সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে। ফিরোজ হোসেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনী থেকে বছর তিনেক আগে চাকুরি ছেড়ে পরিবারের সাথে বসবাস করছিলেন।
জানা গেছে, পূর্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ফিরোজ হোসেন এবং চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের বাকবিতান্ডা শুরু হয়। এমতাবস্তায় রেজাউল করিম ব্যাপক মারপিট করেন ফিরোজ হোসেনকে। এক পর্যায় রেজাউল করিম সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফিরোজ হোসেনকে পাকা রাস্তায় ফেলে দেন। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ফিরোজ হোসেনের প্রচুর রক্ত বের হয়। ঘটনাটি দেখে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে চেয়ারম্যান রেজাউল করিমকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান। এরপর ফিরোজ হোসেনকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরদিন শুক্রবার সকালে ফিরোজের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ফিরোজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পথের মধ্যে তিনি মারা যান।
এরপর পরিবারের লোকজন দুপূরে বাড়ি নিয়ে এসে থানায় মামলা করতে চাইলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কোন মামলা করতে পারেনি বলে অভিযোগ করছেন নিহতের পরিবার। সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে তিলকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে এক ঘরোয়া বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে ৬ লাখ টাকায় পরিবারের সাথে ও মোটা অংকের টাকায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাথে দফারফা শেষে দুপূরে পাবিরারিক গোরস্থানে ফিরোজের মৃতদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
ফিরোজ হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বাবা ময়েন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো টাকা হাতে পাইনি। সপ্তাহখানে পরে তিলকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার টাকাগুলো দিবেন বলে জানিয়েছেন।
তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সেল ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আব্দুল জব্বার জানান, ফিরোজ হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন। ঘটনার দিন ভিজিএফের গম বিতরণের সময় চেয়ারম্যানকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করার এক পর্যায় অনাকাক্ষিত এই ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, নিহত হওয়ার পর বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায় দফারফা করে মিমাংসা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান এলাকায় না থাকায় টাকা নিহতের পরিবারকে দেয়া সম্ভব হয়নি। চেয়ারম্যান এলেই টাকাগুলো দেয়া হবে।
পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।