Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
নকল ডিমের পর এখন তৈরি হচ্ছে নকল চাল। আর এই চাল ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র! এই চাল দেখতে সত্যিকারের চালের মতো হলেও এটি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। ফলে বাজারে গিয়ে কিনে আনলেন মিনিকেট বা ভালো বাঁশকাঠি চাল। স্বাভাবিকভাবে সে ভাত রান্না হলো। রান্না শেষে খেয়েও ফেললেন। কিন্তু, জানলেনও না, আপনি যে চালের ভাত খেলেন, সেটা কৃত্রিম চাল!
দুঃখের বিষয় হলো প্লাস্টিকের চাল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্লাস্টিকে রয়েছে ফিলেইটস নামক উপাদান, যা হরমোন এবং প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে থাকে। তব্ প্লাস্টিকের চাল এবং সাধারণ চাল দেখতে একইরকম হলেও কিছু উপায়ে তাদের আলাদা করা সম্ভব। আসুন আজ জেনে নেয়া যাক সেই কৌশলগুলো।
> একটি টেবিল চামচে চাল নিন। এটি চুলায় আগুনের উপর রাখুন। যদি প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ পান তবে বুঝতে হবে এটি প্লাস্টিকের চাল।
> একটি প্যানে এক চা চামচ তেল দিয়ে এতে কিছু পরিমাণ চাল দিয়ে দিন। এটি ভাজুন। প্লাস্টিকের চাল গলে যাওয়া শুরু করবে এবং প্যানের নিচে লেগে যাবে। এই রকম হলে আজই এই চাল খাওয়া বন্ধ করুন।
> এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ চাল দিয়ে নাড়ুন। প্লাস্টিকের চাল হলে এটি পানির উপর ভাসতে থাকবে। সত্যিকারের চাল কখনও পানির উপর ভাসবে না, এটি পানির নিচে চলে যাবে।
> এক কাপ চাল সিদ্ধ করুন। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা হয়ে এলে চাল লক্ষ্য করুন। ভাতের উপর একটি ঘন লেয়ার পড়ে তবে বুঝতে হবে এটি প্লাস্টিকের লেয়ার। এই চাল প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।
> কিছু পরিমাণ চাল গুঁড়ো করে নিন। যদি চালের গুঁড়ো সাদা হয় তবে সেটি আসল চাল। আর যদি চালের গুঁড়ো হলুদ বা অন্য কোনো রঙের হয় তবে সেটি নকল চাল।
> নকল চাল বুঝতে পারার আরেকটি উপায় হলো, কিছু চাল রান্না করুন। এটি সাধারণ তাপমাত্রায় দুই তিন দিন রেখে দিন। যদি ভাত নষ্ট বা ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত না হয় তবে বুঝতে হবে আপনি প্লাস্টিক চাল খাচ্ছেন। সত্যিকারে চালের ভাত সাধারণ তাপমাত্রায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।