ইবি শিক্ষার্থী আল আমিনকে বাঁচাতে বন্ধুদের আবেদন

সবকিছু ঠিক ঠাক মতই চলছিলো কিন্তু হঠাত মরণ রোগ এসে দানা বাধে আল-আমিনের শরীরে। তাতে লন্ড ভন্ড হয়ে যায় স্বপ্ন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র আল-আমিন। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে অদম্য পরিশ্রম করা আল-আমিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের রাষ্ট্র-বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। স্বপ্ন পুরোনের আশায় তখন বাতি জ্বলে। আল-আমিনের এখন ছুটে বেড়ানোর কথা ছিল ইউনিভার্সিটির ক্লাশ রুম, লাইমেযুরী, ডিপার্টমেন্টে।  গরীব বাবা রায়হান আলী জোয়ার্দ্দার, মা দুলু খাতুন স্বপ্ন দেখার চেষ্টা করেছিল । সকল ভরসা, যাকে দেখে মা সকল কষ্টেও মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠত। সে এখন নিজের সাথে, শরীরের সাথে যুদ্ধ করছে হাসপাতালের বেডে । তার কিডনী ৯০% ড্যামেজ। এখন প্রতি সপ্তাহে তার দুইবার ডায়ালাইসিস করা লাগে। অনেক ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। ডাক্তাররা বলেছেন অতিসত্বর তার কিডনী ট্রানেসমিশন প্রয়োজন।  এজন্য টাকা লাগবে ৩০ লাখ। এই পরিমাণ টাকা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব না । আল আমিনের দুইটি কিডনীই বিকল।
ইতোমধ্যে গরীব কৃষক বাবার যা কিছু সম্পদ ছিল সব দিয়ে ছেলেকে চিকিৎসা করিয়েছেন। বৃদ্ধ বাবা মা ছেলেকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ক্ষমতা নেই।  
এদিকে আল-আমিনের চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহের জন্য সহপাঠিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিত্তবান মানুষের কাছে যাচ্ছে। তারা বন্ধুকে  আবারো তাদের মাঝে ফিরে পেতে দেশের বিত্তবান মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়াতে আবেদন করছেন।
কথা হয় তৌফিক, সাকিল, শিফাত, আনিস, রোজার সাথে। তারা মঙ্গলবার বগুড়ায় এসেছে। বন্ধুকে আবারো তাদের মাঝে ফিরে পেতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তারা আরো জানায়, ৩০ লাখ টাকা হলেই আল আমীন সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানেিয়ছেন ডাক্তাররা। আল আমিনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা: আল-আমিন, অগ্রণী ব্যাংক হিসেব নং: ০২০০০০৮৭০৬৯১৩ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিকাশ ০১৯৫৭০৩৯২৫৯ (পরসোনাল)

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ