শেরপুর পৌরসভা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

 

আবু জাহের. শেরপুর (বগুড়া) থেকে


    বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সালমা খাতুন এর ছুটি ছাড়া স্কুলে অনুপস্থিত থাকা, অর্থ আত্মসাত, বিভিন্ন সময় স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিজের কাজ করা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

    রোববার সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সালমা খাতুন গত বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে একটি ক্লাশ নিয়ে ১১টায় বাইরে চলে যায়। দীর্ঘ সময় পর দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে স্কুলে গিয়ে স্কুলের দপতরী কাম নাইট গার্ড সুজনকে দিয়ে তার ব্যাগপত্র নিয়ে ব্যাক্তিগত কাজে বাইরে যায়। রবিবার সকাল ১০টায় শেরপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ নার্গিস পারভিন বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে যায়। এসময় প্রধান শিক্ষক কে না পেয়ে সিনিয়র শিক্ষক সন্ধ্যা দত্ত’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- ম্যাডাম আজ বিদ্যালয়ে আসেন নাই। প্রধান শিক্ষক ছুটির কোনো দরখাস্ত দিয়ে গেছেন কি না, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপস্থিত সকল শিক্ষকরা জানান- তারা কিছু জানেন না। তবে নাইট গার্ড কাম দপ্তরী জানায়- গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে যাবার সময় ৮ জুলাই স্কুল ছুটির দিনের তারিখে একটা দরখাস্ত দিয়ে গেছে। তবে সেটা অনুমোদনবিহীন। এদিকে প্রধান শিক্ষক তার নিজ কক্ষ তালাবদ্ধ করে রেখে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সহ নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

    সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জানান- বিদ্যালয়ের মুভমেন্ট খাতা ও পরিদর্শন খাতা সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তার রুমে রেখে যাওয়ায় পরিদর্শন খাতায় মন্তব্য লিখতে পারছি না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আরো জানায় প্রধান শিক্ষক মাঝে মাঝেই স্কুল থেকে নিজের কাজের জন্য বাইরে চলে যায়। বিদ্যালয়ের নাইট গার্ড কাম দপ্তরী শ্রী সুজন চৌহান বলেন আমাকে দিয়ে বিদ্যালয়ের কাজের বাইরেও তার ব্যাক্তিগত কাজ করিয়ে নেয়। এদিকে প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় অন্য কোনো শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব অর্পন করে যাননি বলেও জানিয়েছেন সকল শিক্ষকরা।

    এ প্রসঙ্গে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি শুভেন্দু লাহিড়ী, সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, সন্ধ্যা দত্ত বলেন- প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছা মতো বিদ্যালয়ে আসেন এবং চলে যান। কারো সাথে পরামর্শ করে কোনো কাজ করেন না। এমনকি প্রধান শিক্ষক সভাপতিকে বলেন- আপনি এত ঘন ঘন বিদ্যালয়ে আসেন কেন? এ নিয়েও সভাপতি ও শিক্ষকদের মাঝে গভীর ক্ষেভ রয়েছে।

    ছুটির ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট থেকে ছুটি নিয়েছি। তবে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম এর কাছে ছুটি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছ থেকে ছুটি নেয়নি। আর বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ