আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বুধবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দূর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অব্যাহত পানিবৃদ্ধিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের ঘরবাড়ীতে পানি প্রবেশ করেছে। এসব কিছু পরিবার ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অসংখ্য পরিবার পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। বসতবাড়ীতে চুরির আশংকায় তার ঘর ছাড়ছেন না। এদিকে পানিবন্দি এলাকার মানুষ গোবাদী প্রাণী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ ও গোবাদী প্রাণীর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিতরা ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে গোবাদী প্রাণী গাদাগাদি করে বসবাস করছেন। বৃষ্টিতে তাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
অপরদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। এ কারনে দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি থাকলে বুধবার সরকারী ভাবে দুই হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার কারনে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান ইতিপূর্বে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। পানিতে তলিয়ে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে কৃষকের বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ভূতবাড়ী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ফুটো হয়ে পশ্চিম তীরে পানি প্রবেশের স্থানে বালুর বস্তা দিয়ে সংস্কার কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বুধবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমান ও বগুড়া জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী। তারা বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের ধর্য্যের সাথে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান।



