Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি.
কোরবানি ঈদের বাজার ধরতে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার অর্ধশত ক্ষুদ্র খামারি গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকার কারণে এবছরও গরুতে লাভ হবে এমনটি আশা করছেন গরু খামারিরা।
উপজেলার কাথম গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি আলহাজ্ব বুলু মিয়া বলেন, তাদের গ্রামে প্রায় ৪৫ টি পরিবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশী জাতের গরু পালন করছে। তিনি নিজেও পালন করছেন ৪ টি গরু। পৌর শহরের আলহাজ্ব আব্দুস সালাম জানান, গরু পালন তার নেশা। এবছর তিনি ২০ টি গরু পালন করেছেন। আলাইপুর গ্রামের সুরুজ আলী বলেন, ভুষি, চিটেগুড়, খুদকুড়া ও খৈলের দাম বৃদ্ধির পরও তাদের পরিবার পনের বছর ধরে গরু পালন করছেন। পরিবারে তার মা, ভাই ও স্ত্রী গরু পালনে সহায়তা করেন। তবে গরু মোটাতাজায় তারা কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করেন না বলে দাবি করেন। তাদের ভাষ্য, কৃষিকাজে তারা যে গম, খৈল ও ভূষি পান তা থেকেই গরুর খাবার যোগান দেন। তাছাড়া যারা ঈদের ১/২ মাস আগে গরু কিনে পালন করেন তারাই ইনজেকশনে গরু মোটাতাজা করেন। এই উপজেলায় সরকারিভাবে বড় ধরনের কোনো খামার বা গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প না থাকলেও গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষগুলো বাড়তি লাভের আশায় কোরবানি ঈদের ৬ মাস আগ থেকেই গরু মোটাতাজায় লগ্নি করেন। আর এভাবেই উপজেলায় অর্ধশত ছোটবড় খামার গড়ে উঠেছে। উপজেলার ভাদুম, পেংহাজারকি, আলাইপুর, ভাটরা, হাটুয়া, ইউসুবপুর, ডেরাহার, কদমা গ্রাম ঘুরে বেশকিছু মাঝারি খামার চোখে পড়ে। খামারীরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা গরুর পরিচর্যা করেন। সম্পূর্ণ দেশি খাবার দিয়ে তাদের খামারের গরু মোটাতাজা করা হয়। ৬ মাস আগে খামারের প্রতিটি গরু ২৮ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় কেনা হয়। ঈদ মৌসুমে প্রতিটি গরু ৬৫ হাজার থেকে লাখ টাকার উপরে বিক্রি হবে বলে তারা আশা করেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: শফিউল আলম বলেন, এই উপজেলায় ভাল ঘাস হয়। তাই গরুর খামার করার এখানে যথেষ্ট সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে। সবচে বড় কথা যারাই খামার করছেন, তারা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের নজরদারি ও খামারিরা সচেতন হওয়ায় এখন কেউ আর ইনজেকশন দেয় না। তবে গত বছরের চেয়ে এবার দাম ভাল থাকায় ক্ষুদ্র খামারিরা বেশ উজ্জীবিত।