Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি.
শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা থেকে ফুলতলা আঞ্চলিক সড়কের ১ কিলোমিটার রাস্তা সহ তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও অলিগলির রাস্তা। সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতার। এই রাস্তা দিয়ে ৩টি কেজি স্কুল ও একটি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী সহ ১৫ গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নওদাপাড়া, ফুলতলা ও মুন্সি পাড়া এলাকার মানুষ স্থায়ী জলাবদ্ধতায় আটকা পরেছে। এর উপর আবার গত ৩ দিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন অলিগলির রাস্তা। ফলে শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং ছাত্র/ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছেনা। পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেন না থাকায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির পানি। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। যেন দেখার কেউ নাই।
৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার ছাইদার রহমান শাকিল জানান, আমরা নব গঠিত ১০নং শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এখানে বসবাসরত প্রায় ১শতাধিক পরিবার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অল্প করে কয়েক শতক জমিতে কাঁচা ঘরবাড়ি নির্মান করে কোন রকমে বসবাস করছি। এলাকায় অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মান করার ফলে বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের কোন ড্রেন না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানির সাথে পায়খানার নোংরা পানি ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়িতে। ফলে পানিবাহিত রোগ বালাই ডায়রিয়া, আমাশয় সহ পেটের পীড়ার মত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসাথে ঘরবাড়ির মেঝেতে হাঁটু পানি উঠে পড়ায় বাঁশের মাচার ওপরে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের। একই অভিযোগ করেন, ওই পাড়ার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন, শাহজাহান, মহির, বক্কর, জুব্বার খাঁ, হারেজ, লাল মিয়াসহ অনেকেই। তাদের অভিযোগ, নওদাপাড়া ও মুন্সি পাড়া এলাকার শত শত মানুষ বৃষ্টির পানিতে হাবু-ডুবু খেলেও যেন দেখার কেউ নাই। অসহনীয় এই চিত্র স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবী জানালেও কোন সাড়া মেলেনি। তাদের কাছে পয়নিস্কাশনের ড্রেন নির্মানের আবেদন করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সাথে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধদের নিয়ে। ইতিমধ্যে অনেকের পরিবারে দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ বালাই। জীবিকার তাগিতে নোংরা পচা পানিতে চলাচল করায় হাতে পায়ে চর্ম রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নোংরা পচা পানির দূর্গন্ধের কারণে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশে। ফলে অসুস্থ হচ্ছে বৃদ্ধ, শিশু সহ সব মানুষ।
শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান লিটন জানান, ওই এলাকার মানুষ চরম কষ্টে আছে। আমাদের পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরী করতে পারছিনা। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।