সিয়েরা লিওনে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১২

নিউজ ডেস্ক.



আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে ভারি বৃষ্টির পর ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩১২। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এই ঘটনায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত আরও দুই হাজার মানুষ। আজ সোমবার দেশটির রাজধানী ফ্রিটাউনের কাছে রিজেন্ট এলাকার ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

রেডক্রসের মুখপাত্র প্যাট্রিক মোসাকুইউ এএফপিকে জানান, সোমবার মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১২ জনে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে ফ্রিটাউনের কনাউট হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মেদ সিন্নাহ উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত তারা ১৮০ জনের মরদেহ গ্রহণ করেছেন। এদের অধিকাংশই শিশু।

অনেক মরদেহ বেসরকারি একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান সিন্নাহ।

দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, অনেকে নিখোঁজ থাকায় এখনই হতাহতের সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।

সিয়েরা লিওনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর বোকারি ফো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সম্ভবত শত শত মৃতদেহ মাটির নিচে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, ঘটনা এতটাই মারাত্মক যে আমি নিজেই ভেঙে পড়েছি। আমরা ওই এলাকা ঘিরে রেখে দুর্গত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছি। এখনও অনেকেই তাদের বাড়িতে আটকা পড়ে আছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়নের ৬০ শতাংশের বেশি ভাগ মানুষ দারিদ্য সীমার নিচে বাস করে। ২০১৪ সালে দেশটির ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

রেড ক্রসের মুখপাত্র আবুবক্কর তারওয়ালি বিবিসিকে জানান, মরদেহগুলো ফ্রিটাউনের কেন্দ্রীয় মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তারাওয়ালি বলেন, সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক এবং কর্মীরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে নিযুক্ত রয়েছে। হতাহতদের দ্রুত আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

সিয়েরা লিওনের এক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যান্ডি রজার্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, পাহাড় ধসের কারণে ওই এলাকার ২ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এতবড় দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে বড় ধরনের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ