Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শহরাবাড়ী গ্রামে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুটো দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার আশংকায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শনিবার থেকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আঘাত করছে। এদিকে ৪ বছর আগের বালু মাটির তৈরী বাঁধে ঈঁদুরের অসংখ্য ফুটো তৈরী করেছে। সোমবার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের শহরাবাড়ী গ্রামের জামে মসজিদের পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ঈঁদুরের তৈরী ফুটো দিয়ে পানি পশ্চিমতীরে লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের দৃষ্টিগোচর হয়। একদল তরুণ স্বেচ্ছাশ্রমে বালু ভর্তি বস্তা ফেলে ফুটো বন্ধের চেষ্টা চালায়। এদিকে খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি প্রবেশ রোধ করতে মঙ্গলবার কাজ শুরু করেছে। তবে ওই স্থানে বাঁধ ভাঙ্গার আশংকায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে মঙ্গলবার বন্যা পরিস্থিতি’র আরো অবনতি ঘটেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ৫টি প্রাথমিক ও ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা দুর্গত পরিবার গুলো বাঁধে ্আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মানুষ ও গোবাদী প্রাণীর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গত এলাকায় পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ও নিরাপদ খাবার পানির অভাব রয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ বাড়ছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশীদ ধুনট বার্তাকে জানান, শহরাবাড়ী গ্রামে বাঁধে ঈঁদুরের গর্তদিয়ে পানি পশ্চিমতীরে প্রবেশ করছিল। খবর পেয়ে জরুরী ভিত্তিতে সেখানে বালুর বস্তা ফেলার কাজ করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে কাজ করায় বাঁধ ভাঙ্গার আশংকা নেই।