মান্দার আত্রাই নদীর ভাঙ্গনে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা,মান্দা (নওগাঁ).



নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর চকরামপুর, শহরবাড়ি(কয়লাবাড়ি) ও দ্বারিয়াপুর সুজনসখী খেয়াঘাটের পানি উন্নিয়ন বোর্ডের মূল বাঁধ (পাকা রাস্তা) ভাঙ্গনের ফলে ঐসব ভাঙ্গা স্থান দিয়ে প্রবল বেগে ¯্রােত প্রবাহিত হয়ে প্রসাদপুর, নুরুল্যাবাদ বিষ্ণুপুর, কালিকাপুর, কুশুম্বা, মান্দা ইউনিয়নের নতুন নতুন গ্রাম ও বির্স্তীণ ফসলের মাঠ তলিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ফকিন্নী ও শিব নদীর বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দ্বারিয়াপুর সুজনসখী খেয়াঘাটের মূল বাঁধ ভাঙ্গা দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার দূরে পশ্চিমে ছোটবেলালদহ, বড়বেলালদহ, বড়পই, কামারকুড়ি পর্যন্ত বন্যার পানি এসে পৌঁচেছে।এতে প্রসাদপুর বাজারের সব ব্যবসায়ী তাদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

এসব ইউনিয়ন ছাড়াও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নসহ কশব ও কাশোপাড়া ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের সোয়া লাখ পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বাড়ি-ঘরসহ ফসলের মাঠ নিমজ্জিত হয়েছে। সেখানে বানভাসী মানুষ, গবাদী পশু-পাখীর তীব্র খাদ্য ও পানীয় সংকট দেখা দিয়েছে। তিন পেরিয়ে গেলেও বেশিরভাগ গ্রামে এখন পর্যন্ত কোন সরকারী ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।

ফলে এসব এলাকার অসহায় মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন। বানভাসী মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়নি বলেও একাধিক বর্নাত্য মানুষজন জানান। অনেকে না খেয়ে থাকলেও তাদের দেখার কেউ নেই।

সরকারী, এনজিওর কোন সাহায্য সময় মত না পৌঁছায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বাঁধ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া এসব বন্যা দূর্গত মানুষ।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ