ধুনটে কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.



বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি কমেছে। তবে পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি’র উন্নতি হয়নি। দুর্গত এলাকায় বাড়েছে দুর্ভোগ।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ২য় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দু’হাজার পরিবার। বুধবার যমুনা নদীতে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহ হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের মতে এবার পানি বৃদ্ধির রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তবে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় যমুনা নদীতে বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত পানি কমেছে ৩ সেন্টিমিটার। এদিকে পানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আঘাত করছে। বাঁধের পূর্বতীরে পানির অবস্থানের চেয়ে পশ্চিমতীরে ভূ-পৃষ্ঠ প্রায় ৯ফুট নীচু। আর এ কারনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ৭কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানিবন্দি এলাকার মানুষ গোবাদী প্রাণী নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ছোট ছোট ঝুপড়ী ঘর তৈরী করে আশ্রয় নিয়েছে। মানুষ ও গোবাদী প্রাণীর খাদ্য সংকট রয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নেই। দুর্গত এলাকায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারী ত্রাণ সহায়তা পৌছেনি। ভাঙ্গন আতংকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত ও পশ্চিমতীরের মানুষ রাত জেগে বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছে।

এদিকে বন্যার পানি ওঠায় ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। দুর্গত এলাকার ৫৫০ হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। এদিকে বন্যার পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১টি গরু, ২টি ভেরা, ১টি ছাগল ও ৩টি মুরগী মারা গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম জানান, বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুকনো খাবার কিনে এবং বরাদ্দকৃত চাল বৃহস্পতিবার দুর্গতদের মাঝে বিতরণের কাজ চলছে।


অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ